আরো এক মামলায় রফিকুল মাদানীর বিচার শুরু

আগের সংবাদ

নাশকতার শঙ্কায় সতর্ক আ.লীগ : ষড়যন্ত্র ঠেকাতে নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার নির্দেশ ক্ষমতাসীন দলের, ‘পাল্টা কর্মসূচি’তে অস্বস্তি বিএনপির

পরের সংবাদ

পলাশবাড়ীর পবনাপুর : ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নয় সদস্যের অনাস্থা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : পলাশবাড়ী উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান মন্ডলের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করেছেন ইউপির ৯ সদস্য। একইসঙ্গে তারা চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাছে অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করেছেন। এদিকে, অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান।
গতকাল বুধবার দুপুরে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম ফয়েজ উদ্দীন অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। দশ কর্মদিবসের মধ্যে অভিযোগের তদন্ত অনুষ্ঠিত হবে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে নীতিমালা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইউপির মোট বার সদস্যের মধ্যে অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষরকারী নয় সদস্য হলেন- ২নং ওয়ার্ড সদস্য গোলাম রসুল উজ্জল, ৩নং ওয়ার্ডের জিয়াউর রহমান জিয়া, ৪নং ওয়ার্ডের শাহ আলম সরকার, ৫নং ওয়ার্ডের আ. মালেক প্রধান বাবু, ৬নং ওয়ার্ডের কেএম জিয়াউর রহমান জিন্নাহ, ৭নং ওয়ার্ডের সোহেল শেখ, ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মেরীনা বেগম, ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নাছিমা বেগম, ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য শাহীনুর বেগম।
ইউপি সদস্যদের অভিযোগ, ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচত হন মাহাবুবুর রহমান মন্ডল। শুরু থেকেই নিয়মনীতির কোনো তোয়াক্কা না করে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে সরকারি পরিপত্র উপেক্ষা করে তিনি মনগড়া ভূমিকা পালন করে আসছেন। কোন সিদ্ধান্তেই ইউপি সদস্যদের সঙ্গে কোনোরূপ পরামর্শ গ্রহণ করা হয় না। তিনি গত ২০২১-২২ অর্থবছরে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে ১% অর্থ ছাড়াও পরিষদের আদায়কৃত অর্থ ব্যাংকে জমা না রেখে তিনি নিজেই পকেটস্থ করেছেন।
এছাড়া জন্ম নিবন্ধনের সরকারি নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত ফি আদায় অব্যাহত আছে।
জনসাধারণের কাছে গ্রাম আদালতের বিপরীতে ১০/২০ টাকা নেয়ার কথা থাকলেও চেয়ারম্যান সেখানে ৪০০ টাকা পর্যন্ত ফি নিচ্ছেন।
টিসিবি সুবিধাভোগীর নামীয় কার্ডের পণ্যসামগ্রী তিনি নিজেই উত্তোলন করে আত্মসাত করছেন। ভিজিএফ এর ৮৪ বস্তা চাল কার্ডধারীদের মাঝে বিতরণ না করে কালোবাজারির মাধ্যমে বিক্রয় করেন।
পরবর্তীতে থানা পুলিশ চালের বস্তাসমূহ জব্দ করেন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ভিডব্লিউবি কর্মসূচির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার অন্তর্ভুক্তির তালিকা অনিয়ম করে অর্থের বিনিময় দরিদ্রদের বাদ দিয়ে নিজস্ব আত্মীয় স্বজনের মাঝে এসব কার্ড বিতরণ করেন। ২০২১-২২ অর্থবছর এলজিএসপি’র বরাদ্দকৃত অর্থ ভুয়া প্রকল্প দাখিলের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন।
তবে চেয়ারম্যনে মাহাবুবুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। শুরু থেকেই বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা ভাগ করে দিতে রাজি না হওয়ায় কিছু সদস্যরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এই মিথ্যা অভিযোগ- অনাস্থা এনেছেন তারা। সর্বশেষ ভিজিডির বরাদ্দের ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে এ অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ ইউনিয়নে ভিজিডি কার্ড বরাদ্দ পাওয়া যায় ২৫৫টি। এরমধ্যে ইউনিয়নের ১২ সদস্যের প্রত্যেককে ৭/৮টি করে বরাদ্দ দিতে চাইলে তারা ১০/১২টি করে ভিজিডি কার্ড দাবি করেন। না পেয়ে তারা অভিযোগ করেছেন।
অনাস্থার বিষয়ে চেয়ারম্যান বলেন, তিনি পরিষদের প্রতিটি কর্মকাণ্ড স্বচ্ছতার ভিত্তিতে চালিয়ে আসছেন। সেক্ষেত্রে সদস্যদের আনীত অভিযোগ সমূহের সুষ্ঠু তদন্ত কামনা করেছেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়