কাগজ প্রতিবেদক : গুলশানের প্রেসিডেন্ট পার্কে বিদিশা সিদ্দিকের বন্দিদশায় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ পুত্র শাহতা জারাব এরশাদ এরিক জীবন শঙ্কায় আছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটতে সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন এরশাদ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা। একই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট পার্কে বিদিশার হাত থেকে এরিককে উদ্ধারে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই এরিক ও তার ড্রাইভার মহিদুল এবং কাজী মামুনের সঙ্গে কথোপকথনের দুটি অডিও রেকর্ড শোনানো হয়। অডিও রেকর্ডে বিদিশা সিদ্দিকের বলয় থেকে নিজেকে মুক্ত করার আকুতি জানিয়ে এরিক বলেন, আমাকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। বিদিশার কাছ থেকে মুক্ত না করলে অডিওতে আত্মহত্যার হুমকি দেন এরিক এরশাদ।
এ সময় বোর্ডের চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশীদ তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, বর্তমানে এরিক এরশাদ ট্রাস্টের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। তার খোঁজখবরও নিতে পারছি না আমরা। তার কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নেয়া হয়েছে। এমনকি আমাদের প্রেসিডেন্ট পার্কেও প্রবেশে বাধা দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, এরশাদের রেখে যাওয়া একটি টাকাও উত্তোলন করা হয়নি। এরিকের ভরণপোষণের জন্য শুধু একটি ব্যাংক থেকে কিছু লভ্যাংশ উত্তোলন করা হয়েছে। আমরা ব্যাংকে চিঠি দিয়ে লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছি। কারণ চেক বই প্রেসিডেন্ট পার্কে রয়েছে। সুবিধাভোগীর সই ছাড়া টাকা তোলা যায় না। এছাড়া ট্রাস্টের টাকা নিরাপদ রাখতেই আমরা চিঠি দিয়েছি। ট্রাস্টভুক্ত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রক্ষিত আছে।
এক প্রশ্নের জবাবে কাজী মামুন বলেন, ট্রাস্টের রুল অনুসারে বিদিশা প্রেসিডেন্ট থাকতে পারেন না। অথচ তিনি গায়ের জোরে অক্টোবরে ট্রাস্টি বোর্ডে আরো কিছু সদস্য নিয়োগ করেছেন। তিনি কাউকে এককভাবে নিয়োগ দিতে পারেন না। এসবের পেছনে প্রেসিডেন্ট পার্কে অনুপ্রবেশকারী বিদিশা সিদ্দিক ও তার আর্শিবাদপুষ্ট লোকজনের কী হীন উদ্দেশ্য রয়েছে, তা তদন্তের মাধ্যমে বের করার আহ্বান করছি। আরেক প্রশ্নের জবাবে এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান বলেন, এরিক নিজেই তার মায়ের কাছে নিরাপদ মনে করছেন না। এরিক জীবন ঝুঁকিতে আছে। আমরা চাই, এরিকের মোবাইল ফোন ফিরিয়ে দেয়া হোক।