দুদক মামলা : আদালতে হাজিরা দিলেন আব্বাস দম্পতি

আগের সংবাদ

শিল্প খাতে বাড়ল গ্যাসের দাম > সবচেয়ে বেশি বাড়ছে ক্ষুদ্রশিল্পে, মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ বাড়বে : বিশেষজ্ঞদের অভিমত

পরের সংবাদ

চিকিৎসাধীন ৪ জন : বিষক্রিয়ায় আ.লীগ নেতাসহ পাঁচজনের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে বিষক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ধোঁয়াশা যেন বেড়েই চলেছে। জেলায় এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু এই মৃত্যুর ঘটনা।
অধিকাংশ মানুষের প্রশ্ন কীভাবে ঘটল এ ঘটনা, কোথায় বসে এলকোহল পান করছিলেন তারা, তাদের আড্ডায় কতজন ছিলেন এবং কারা কারা ছিল? অ্যালকোহল কোথায় থেকে আনা হয়েছিল, কে এনেছিল এসব প্রশ্নের উত্তর নিয়ে রহস্য বেড়েই চলেছে।
এদিকে এ ঘটনায় আরো ৪ জন বিভিন্ন হাসপাটালে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে। তারা হলেন- খোকন মিয়া, উজ্জ্বল, মহসিন মিয়া এবং প্যানেল মেয়র হাবিবুর রহমান।
অন্যদিকে পাঁচ জনের মৃত্যু হলেও ময়নাতদন্ত হয় তিন জনের। প্রত্যেকের পাকস্থলীতেই অ্যালকোহলের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে এমনটা জানিয়েছেন, কিশোরগঞ্জ জেলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।
তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়া তিনজনের প্রত্যেকের পাকস্থলীতে প্রচুর এলকোহলের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে মদ্যপানে বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে।
পাঁচ জনের মধ্যে জহির রায়হান জজ, গিয়াস উদ্দিন ও লিটন মিয়ার ময়নাতদন্ত হয়। তিনজনের পাকস্থলীতে অ্যালকোহলের অস্তিত্ব পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে বাকি দুইজনের ময়নাতদন্ত না করা নিয়েও রহস্য তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
তারা বলছেন, গোবিন্দ বিশ্বাসের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়া কেনো দাহ্য করা হলো? একইভাবে দাফন সম্পন্ন হওয়া শাহজাহানের মরদেহের ময়নাতদন্ত কেন হচ্ছে না প্রশ্ন তাদের!
ময়নাতদন্ত শেষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহির রায়হান জজের মরদেহ সোমবার রাতেই দাফন সম্পন্ন হয় এবং সাংগঠনিক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন গিয়াসের জানাজা মঙ্গলবার দুপুর দুইটার দিকে স্থানীয় বড়খারচর ঈদগাহ্ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বিসিবি সভাপতি আলহাজ নাজমুল হাসান পাপন উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কুলিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ইয়াছির মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমতিয়াজ বিন মুছা জিসান, সাবেক সভাপতি আবুল হোসেন লিটন, পৌর মেয়র সৈয়দ হাসান সারওয়ার মহসিন, কুলিয়ারচর থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম মস্তোফা, উপজেলা পরিষদের সদস্য আব্দুস সাত্তার মাস্টার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর মো. মিজবাহুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান, উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মো. এমরান মিয়াসহ জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
ময়নাতদন্ত শেষে অন্যজন লিটন মিয়ার জানাজা বিকাল সাড়ে ৫টায় সম্পন্ন হয় এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক গোবিন্দ বিশ্বাসের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়া সোমবার রাতেই দাহ্য কার্য শেষ হয়।
কুলিয়ারচর থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, এখন পর্যন্ত নিহত কারো পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলাও হয়নি। তারপরও নিজ প্রণোদিত হয়ে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। ময়নাতদন্ত ছাড়া গোবিন্দ বিশ্বাসের দাহ্যের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি এই কর্মকর্তা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়