নিউমার্কেটে সংঘর্ষ : তিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পেছাল

আগের সংবাদ

নামমাত্র প্রস্তুতিতে পাঠদান : বই পায়নি অনেক শিক্ষার্থী > বই, সহায়িকা ছাড়াই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ > নোট-গাইড ছাপার তোড়জোড়

পরের সংবাদ

মাদারগঞ্জে ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন কৃষক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এস এম হুমায়ুন কবির, মাদারগঞ্জ (জামালপুর) থেকে : জলবায়ু পরিবর্তন এবং সঠিক সময়ে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় উৎপাদিত ফসলের সঠিক মূল্য না পাওয়া এবং ইদুরের উপদ্রবসহ বিভিন্ন কারণে দিন দিন গম চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, এ উপজেলায় ৩০০ হেক্টর জমিতে গম চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও কৃষকরা মাত্র ১০৫ হেক্টর জমিতে গম চাষ করেছে। গত ২০২১-২০২২ মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৫০ হেক্টর কিন্তু অর্জিত হয়েছিল ৩০০ হেক্টর।
এদিকে সাবেক সেনা সদস্য লাল বাহাদুর ও কৃষক আলীম উদ্দিন মন্ডল মির্জাপুর চরে প্রায় ৫ বিঘা জমিতে গম চাষাবাদ করে কৃষককে গম চাষে আগ্রহী করার চেষ্ঠা করেছেন। এ বিষয়ে তারা বলেন, বর্তমানে গমের আবাদ অনেক কমে গেছে। তাছাড়া গম হচ্ছে বিদেশ থেকে আমদানি করা নির্ভর একটি খাদ্যপণ্য। তারা ৫ বিঘা জমিতে গম আবাদ করেছেন তাদের এই আবাদ দেখে যেন আশপাশের কৃষকরা গম চাষে আগ্রহী হন। এমন কি বিদেশের উপর আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশের উৎপাদিত গম দিয়ে দেশের চাহিদা পূরণে সহযোগিতা করতে পারেন। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা নূর আহমেদ সিদ্দিক বলেন, গমের আবাদটি আবহাওয়ার উপর নির্ভরশীল একটি ফসল। সময়মতো সেচ না দিতে পারলে অনেকটাই ফলন কম হবে। এ কারণেই হয়তো গম চাষে আগ্রহ দিন দিন কমে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, চাষিদের ফের গম চাষে আগ্রহ বাড়াতে কৃষককে কৃষি প্রণোদনা দেয়ার পাশাপাশি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস হতে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এ বছর ১ হাজার ১৫০ জন কৃষককে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহাদুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে গমের স্থান ভুট্টা দখল করে ফেলেছে। প্রতি একরে গমের ফলন হয় ৩০ থেকে ৩৫ মণ আর ভুট্টার ফলন হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ মণ। দামের দিক দিয়ে গম এবং ভুট্টার দাম প্রায় সমান। এই জন্য গম চাষে পিছিয়ে যাচ্ছে কৃষক। তারপরেও চাষিদের গম চাষে আগ্রহ বাড়ানোর জন্য উন্নত জাতের বীজ বারীগম ৩৩, বারীগম ৩২ দিয়ে চাষ সম্প্রসারণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে কৃষি বিভাগ। পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কৃষককে সুপরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়