নিউমার্কেটে সংঘর্ষ : তিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পেছাল

আগের সংবাদ

নামমাত্র প্রস্তুতিতে পাঠদান : বই পায়নি অনেক শিক্ষার্থী > বই, সহায়িকা ছাড়াই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ > নোট-গাইড ছাপার তোড়জোড়

পরের সংবাদ

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী : আত্মপ্রকাশ করবে ‘জাগরণ সাংস্কৃতিক স্কোয়াড’

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র বিশ বছরের মাথায় চিহ্নিত স্বাধীনতাবিরোধী এবং যুদ্ধাপরাধীরা যখন রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠছিল, সে সময় দেশের শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ১০১ সদস্যবিশিষ্ট একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠন করা হয়। এরপর বাকিটা ইতিহাস। অনেক লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ৩১তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। আন্দোলনে প্রেরণাদায়ী এ সংগঠনটির আগামী ১৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে ওইদিন রাজধানীর বাংলা একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘জাগরণ সাংস্কৃতিক স্কোয়াড’-এর আত্মপ্রকাশ ঘটাতে যাচ্ছে সংগঠনটি। এছাড়াও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, স্মরণিকা প্রকাশসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি তুলে ধরেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, যাত্রাশিল্পী মিলন কান্তি দে, আবৃত্তিশিল্পী মো. শওকত আলী, কণ্ঠশিল্পী জান্নাত-এ ফেরদৌসী এবং প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব মিন্টু সাহা। শাহরিয়ার কবির বলেন, সারাদেশে যেভাবে উগ্র মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক অপসংস্কৃতির বিকাশ ঘটছে, যেভাবে ধর্মের নামে হিংসা, বিদ্বেষ, বিভেদ ও সন্ত্রাসের ভাইরাস ছড়ানো হচ্ছে, তাতে দেশ ও সমাজকে রক্ষা করতে হলে, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনের ভিত্তিতে রাষ্ট্র ও সমাজ গঠন করতে হলে প্রগতিশীল সংস্কৃতির ধারাবাহিক চর্চা ও প্রসারের বিকল্প নেই। এজন্য ১৯ জানুয়ারি নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এবার ‘জাগরণ সাংস্কৃতিক স্কোয়াড’-এর আত্মপ্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, রাজাকারসহ স্বাধীনতাবিরোধী মুক্ত সংসদ চাই। এ লক্ষ্যে নির্মূল কমিটি কাজ করছে। বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে নবগঠিত এই স্কোয়াড কাজ করে যাবে।
শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী বলেন, শিক্ষাক্রমে সংস্কৃতির বিচরণ ঘটাতে হবে। বিশেষ করে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় সংস্কৃতির বিকাশ হচ্ছে না। মাদ্রাসাগুলোতে জাতীয় সংগীত পর্যন্ত চর্চা করা হয় না। এ ব্যাপারে সরকারের সুদৃষ্টি প্রত্যাশা করেন তিনি।
ফরিদা পারভীন বলেন, সর্বক্ষেত্রে অসংলগ্নতা দেখছি। কাউকে না কাউকে এসব ব্যাপারে বলতে হবে। মানুষ মানুষের জন্য – এ কথাটি সবার মনে থাকা উচিত। সত্য কথাটি সত্যভাবে বলা উচিত। সেটা কোনো ভয়ে নয়, নিজেদের তাগিদে বলতে হবে। মানবের কল্যাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নয়তো রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আসবে না। শওকত আলী বলেন, যে লক্ষ্য নিয়ে দেশ স্বাধীন

হয়েছে তা পদে পদে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। ’৭২ সালের মূল সংবিধান নানাভাবে কাটাছেঁড়া করা হয়েছে। বাঙালি সংস্কৃতির যে ঐতিহ্য সেটি প্রতিষ্ঠিত করতে হলে আমাদের অনেক কিছু করণীয় রয়েছে। জাগরণ সাংস্কৃতিক স্কোয়াড সেই লক্ষ্য অর্জনে কাজ করবে।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ১৯ জানুয়ারি সকাল ১০টায় বাংলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘উগ্র মৌলবাদ, সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক তামসিকতার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাদীপ্ত ধর্মনিরপেক্ষ মানবিকতার সংস্কৃতির বিকাশ ঘটুক’ শীর্ষক আলোচনা সভা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদসহ দেশি-বিদেশি বিশিষ্টজনরা থাকবেন। এছাড়াও দিনব্যাপী আয়োজনে জাগরণ সাংস্কৃতিক স্কোয়াডের আত্মপ্রকাশসহ সাংস্কৃতিক আয়োজন থাকবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়