পদ্মা সেতু : মোটরসাইকেল চলাচল চেয়ে হাইকোর্টে রিট

আগের সংবাদ

আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ : বিশ্বকাপে অপ্রতিরোধ্য টাইগ্রেসরা

পরের সংবাদ

পারমাণবিক হামলার আশঙ্কাও বাড়ছে : যুদ্ধের বর্ষপূর্তিতে ইউক্রেনে ক্ষিপ্রতা চায় রাশিয়া

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : সহজেই অবসান হচ্ছে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ। উভয়দেশ ও মিত্রদের কার্যক্রমে যুদ্ধের ক্ষিপ্রতা এবং দীর্ঘসূত্রতার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠজনরা বলছেন, দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ সীমাবদ্ধ নেই। বরং তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আয়োজন চলছে। পুতিনের ঘনিষ্ঠজন যিনি ব্যক্তিগত মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত সেই ভøাদিমির সলোভিভের মতে, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। পশ্চিমাদের ওপর পারমাণবিক হামলার সময় হয়ে গেছে এবং এখনই এই হামলার জন্য তিনি পুতিনকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
রাশিয়ান টেলিভিশনের একজন প্রখ্যাত উপস্থাপক ভøাদিমির সলোভিভ বলেছেন, মস্কোর উচিত পশ্চিমকে টার্গেট করা। যাতে ন্যাটো দেশগুলো ইউক্রেনে সরবরাহ পাঠানো থেকে বিরত থাকে। পশ্চিমা দেশগুলোর সাহায্য পাঠানো এখনই বন্ধ করতে হবে। তিনি দাবি করেন- ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং পোল্যান্ডে পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর জন্য রাশিয়াকে আহ্বান জানানোর কারণে ইতোমধ্যেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। যুদ্ধের প্রায় এক বছর পর ব্রিটেন কিয়েভে চ্যালেঞ্জার ট্যাঙ্ক সরবরাহ করার ঘোষণার পরই পুতিনের বন্ধু এই ঘোষণা দেন।
২০১৩ সালে রাষ্ট্রপতি ভøাদিমির পুতিনের কাছ থেকে অর্ডার অব অনার পাওয়া ভøাদিমির সলোভিভ বলেন, পশ্চিমাদের উসকানি পুতিনের সহ্য সীমার বাঁধ ভেঙে দিয়েছে। তারা আমাদের লাল দাগ অতিক্রম করে ফেলেছে। এই ধরনের অস্ত্র সরবরাহ আমাদের জন্য লাল রেখাটি মুছে ফেলা সহজ হবে এবং যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে আমরা কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারি। তার আশঙ্কা, রাশিয়া যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও পোলান্ড এই তিনটি ন্যাটো দেশের ওপর আগেভাগে হামলা না করলে রাশিয়া পশ্চিমা ট্যাঙ্ক এবং সাঁজোয়া যানের নিচে চাপা পড়বে।
পুতিনের আরেকজন বিশ্বস্ত লোক সাবেক রাষ্ট্রপতি দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, এই সপ্তাহে রাশিয়ান অস্ত্র প্রস্তুতকারীদের ফ্রন্টলাইন ফায়ার পাওয়ার সরবরাহ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। রাশিয়ান নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান মেদভেদেভ সেন্ট পিটার্সবার্গে ৬১তম সাঁজোয়া যানবাহন মেরামত প্ল্যান্ট পরিদর্শন করার সময় এই নির্দেশ জারি করেছেন।
এদিকে আবারো ইউক্রেনজুড়ে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিধ্বস্ত হয়েছে ইউক্রেনের বহু সরকারি বেসরবারি ভবন। গত শনি ও রবিবার

রুশবাহিনী যেসব শহরে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে রাজধানী কিয়েভ, খারকিভ ও ওডেসা। শহরের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে নতুন এ হামলায় ইউক্রেনের বেশির ভাগ অঞ্চল এখন অন্ধকারে।
গত শনিবার দেশটির পূর্বাঞ্চলের দিনিপ্রো শহরে আবাসিক ভবনে চালানো হামলায় কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছে। দিনিপ্রোতে ৯তলা একটি ভবনের প্রবেশপথে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। এতে ওই ভবনের বেশ কয়েকটি তলা বিধ্বস্ত হয়, আহত হন ৭৩ জন। তাদের মধ্যে ১৪টি শিশু রয়েছে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেন, কয়েক মাসের মধ্যে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।
পশ্চিমারা কি পাঠাচ্ছে : গত শনিবার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট জানায়, ইউক্রেনকে চ্যালেঞ্জার-২ নামে অত্যাধুনিক ট্যাংক দিতে সম্মত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। যুক্তরাজ্যের এ ঘোষণার পর টুইট করে ঋষি সুনাককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জেলেনস্কি। তিনি লিখেছেন, এটা যুদ্ধে আমাদের অবস্থান জোরালো করবে। পাশাপাশি সহায়তার বিষয়ে অন্য মিত্রদেরও সঠিক বার্তা দেবে।
এদিকে শিগগির ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর ব্যবহারের জন্য ট্যাংক পাঠাবে ফ্রান্স ও পোল্যান্ড। ফিনল্যান্ডও কিয়েভের হাতে ট্যাংক তুলে দেয়ার পরিকল্পনা করেছে। গত বুধবার ইউক্রেনের লাভিভ শহরে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেন পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা। এ সময় তিনি আশা প্রকাশ করেন, পশ্চিমা মিত্রদের সহায়তার এসব ট্যাংক দ্রুতই ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর হাতে আসবে। এসব যুদ্ধাস্ত্র রাশিয়ার হামলা প্রতিরোধ করতে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর শক্তি আরো জোরদার করবে।
যুদ্ধ ভয়াবহ হচ্ছে : একজন পশ্চিমা জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকের মতে, ইউক্রেনে যুদ্ধ নতুন পর্যায়ে পৌঁছেছে। যুদ্ধ শুরুর বর্ষপূর্তির আগে রাশিয়া হামলা জোরদার করেছে। এজন্য আগামী কয়েক সপ্তাহে আরো কয়েকটি দেশ কিয়েভকে সামরিক সহায়তা এখনকার তুলনায় বাড়াতে পারে। আর সহায়তার কারণে রাশিয়া বলেছে, ইউক্রেনে আরো অস্ত্র সরবরাহ করলে তাদের অভিযান আরো তীব্র হবে। আরো হতাহতের ঘটনা ঘটবে। ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়বে ইউরোপে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়