মির্জা ফখরুল : বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গণবিরোধী

আগের সংবাদ

সতর্ক-সংকুলানমুখী মুদ্রানীতি : আমানত সুদের ঊর্ধ্বসীমা প্রত্যাহার > নীতি সুদহার বাড়ল > রেপো সুদহার বেড়েছে ২৫ বেসিস পয়েন্ট

পরের সংবাদ

পাকিস্তানের মাটিতে কিউইদের প্রথম সিরিজ জয়

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : করাচিতে গত শুক্রবার রাতে নিউজিল্যান্ড বনাম পাকিস্তানের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। এর আগের ম্যাচ দুটির একটিতে পাকিস্তান অন্যটিতে নিউজিল্যান্ড জয়ী হয়েছিল। তাই সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ ছিল অঘোষিত ফাইনাল। কারণ এ ম্যাচে যারা জিতবে তারাই শিরোপা পাবে। সেই ম্যাচে স্বাগতিক পাকিস্তানকে ২ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জেতে কিউইরা। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে স্বাগতিকরা। তবে শুরুটা তেমন ভালোভাবে হয়নি তাদের। মাত্র দুই ওভারেই পাকিস্তান শান মাসুদকে হারায়। লকি ফার্গুুসের গতিময় পেস বলে এ সহঅধিনায়ক রানের খাতা খুলতে পারেননি। মাইকেল ব্রেসওয়েল বাবর আজমকে মাত্র চার রানে সাজঘরে ফেরান। পাকিস্তান তাদের হারিয়ে চাপের মুখে পড়ে।
তবে স্বাগতিকদের হাল ধরেন ফখর ও রিজওয়ান। ফখর চাপের মুখে প্রথমে একটু সময় নেন। তিনি ৬৫ বল খেলে অর্ধশত রানের দেখা পান। তবে রিজওয়ান প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন। তার স্ট্রাইক রেট একশর কাছাকাছি ছিল। এ কিপার ব্যাটসম্যানের অর্ধশত রান করতে লাগে ৫৩ বল। তাদের জুটি ১৫৪ রান করতে সক্ষম হয়।
পানি পানের বিরতির পরের ওভারেই রিজওয়ানকে বোল্ড করে ১৫৪ রানের জুটি ভাঙেন ইশ সোধি। রিজওয়ানের ৭৪ বলে খেলা ৭৭ রানের ইনিংস গড়া ৬ চারে। শত রানের দেখা পেয়েই রান আউট হয়ে যান ফখর। বাঁহাতি এই ওপেনার অষ্টম সেঞ্চুরিতে ১০ চার ও এক ছক্কায় ১২২ বলে করেন ১০১। এরপর দলকে প্রায় একাই এগিয়ে নিয়ে যান আঘা সালমান। ৪৩ বলে তিনি করেন ৪৫। তাকে কিছুটা সঙ্গ দেয়া হারিস সোহেল রউফের হেলমেটে ছোবল দেয় ফার্গুসনের গতিময় ডেলিভারি। সেটা সামলে ব্যাটিং চালিয়ে যান হারিস। ২২ রান করে রান আউট হয়ে থামে তার ইনিংস। পরে তার কনকাশন সাব হিসেবে ম্যাচের বাকি অংশে খেলেন কামরান গুলাম। ফখর জামানের দারুণ সেঞ্চুরি আর মোহাম্মদ রিজওয়ানের লড়াকু ফিফটিতে এক সময়ে ২ উইকেটে ১৭৫ রানের দৃঢ় ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে ছিল পাকিস্তান। ব্যাটিং ধসে এরপর ৭ উইকেট হারিয়ে কেবল ১০৫ রান যোগ করতে পারে তারা।
তবে তাদের এত কষ্ট কোনো ফলাফল দিতে পারেনি। পাকিস্তানের ২৮০ রানের তাড়ার শুরু থেকেই ভালোভাবে এগিয়ে যেতে থাকে নিউজিল্যান্ড। ২৫ বলে ২৫ রান করেন ফিন অ্যালেন। তিনি রান আউট হলে ৪৩ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে। কনওয়ে ও উইলিয়ামসনের পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটিতে এগিয়ে যায় সফরকারীরা।
পঞ্চাশ ছুঁয়েই বিদায় নেন কনওয়ে। ৬৫ বলে খেলা তার ৫২ রানের ইনিংস গড়া পাঁচ চার ও এক ছক্কায়। রান আউট হয়ে উইলিয়ামসনও সাজঘরে ফিরেন। নিউজিল্যান্ড অধিনায়কের ৬৮ বলের ইনিংস সাজানো মাত্র দুটি চারে।
এরপর দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন ড্যারেল মিচেলকে। এ চেষ্টাই কাল হয়ে দাঁড়ায় তার জন্য। সালমানের বলে তিনিও আউট হন। টম ল্যাথাম ও ব্রেসওয়েলও দ্রুত মাঠ ছাড়েন। ৩৯তম ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে কিউইরা। তারপর তাদের হাল ধরেন ফিলিপস। অপর প্রান্তে উইকেট পড়লেও তিনি তার অবস্থান শক্ত করে দ্রুত রান তোলে দলকে জয় এনে দেন।
সিরিজ জয়ের নায়ক নিউজিল্যান্ডের ফিলিপস ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন। ম্যান অব দ্য সিরিজ হন ডেভেন কনওয়ে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়