রাষ্ট্রপতির ভাষণের আলোচনায় এমপিরা : শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ফের ক্ষমতায় আসার প্রত্যয়

আগের সংবাদ

বরিশালে ড্রেজিং করা বালু ফের নদীতে, খোয়া যাচ্ছে টাকা!

পরের সংবাদ

হিন্দু মহাজোটের সংবাদ সম্মেলন : সংখ্যালঘু নির্যাতন কমেছে ২০২২ সালে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সরকার ও প্রশাসনের সদিচ্ছার কারণে ২০২২ সালে দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা কমেছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। সংবাদ সম্মেলনে সংখ্যালঘুদের অধিকার আদায়ে আরো প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে জাতীয় সংসদে হিন্দুদের জন্য ৬০টি আসন সংরক্ষণ ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন এবং উপরাষ্ট্রপতি ও উপপ্রধানমন্ত্রী পদ সৃষ্টি করে তা সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত রাখার দাবি জানান বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব এডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু মহাজোটের সভাপতি বিধান বিহারী গোস্বামী, সিনিয়র সহসভাপতি প্রদীপ কুমার পাল নির্বাহী, সভাপতি এডভোকেট দীনবন্ধু রায়, প্রেসিডিয়াম মেম্বার অভয় কুমার রায়, যুগ্ম মহাসচিব সুজন দে প্রমুখ।
এডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, ২০২২ সালে দেশে কিছু ঘটনা ঘটলেও বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের জন্য সময়ের পালা বদলের একটি স্মারক বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। দেশের বৃহত্তম সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী ধর্মাবলম্বীরা বিগত ২০২১ সালের ভয়, শঙ্কা, সংশয়কে দূরে ঠেলে দিয়ে অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা পালন করেছে। সরকারের শীর্ষ মহলের প্রচেষ্টায় নির্বিঘেœ শারদীয় দুর্গাপূজায় এদেশের অলিতেগলিতে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে পড়েছে। ২০২৩ সালেও একই যাত্রা অব্যাহত থাকবে বলে আমরা আশাবাদী।
তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের অধিকার আদায়ে আরো প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে মহাজোটের পক্ষ্য থেকে জাতীয় সংসদে হিন্দুদের জন্য ৬০টি আসন সংরক্ষণ ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা পুণ:প্রতিষ্ঠা করা, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন এবং উপ-রাষ্ট্রপ্রতি ও উপ-প্রধানমন্ত্রী পদ সৃষ্টি করে তা সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, গত বছর বেশকিছু জমির বিরোধ, অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক বিরোধ, পূর্ব শক্রুতা, স্থানীয় দ্ব›দ্ব ও কলহ, রাজনৈতিক সংঘাত এবং দৈনন্দিন কারণে সংঘটিতসহ বিভিন্ন ঘটনায় ১৫৪ জন নিহতের বিষয়টি অতি সরলীকরণ করা হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি অতিরঞ্জিত করে প্রচার করা হয়েছে। এজন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়