রাষ্ট্রপতির ভাষণের আলোচনায় এমপিরা : শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ফের ক্ষমতায় আসার প্রত্যয়

আগের সংবাদ

বরিশালে ড্রেজিং করা বালু ফের নদীতে, খোয়া যাচ্ছে টাকা!

পরের সংবাদ

মামলার চার্জশিট : ভারতীয় জাল রুপি পাচার করছিল আসামিরা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পাকিস্তান থেকে আন্তর্জাতিক চক্রের মাধ্যমে ভারতীয় জাল মুদ্রা কৌশলে সংগ্রহ করত আসামিরা। দেশীয় চক্রের মাধ্যমে বিপণনসহ ভারতে পাচার করে আসছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সুনামগঞ্জ জেলার সরকারি গাড়িচালক আমান উল্লাহ ভূঁইয়া ও তার সহযোগীরা।
এভাবে ১৫ লাখ ভারতীয় জাল মুদ্রা উদ্ধারের ঘটনায় রাজধানীর হাজারীবাগ থানায় দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় চার জনের বিরুদ্ধে গত ১০ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা (গুলশান) বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের উপপরিদর্শক মো. এছাহাক আলী। চার্জশিটে উপরোক্ত কথা বলেন তদন্ত কর্মকর্তা। চার্জশিটভূক্ত আসামিরা হলেন- আমান উল্লাহ ভূঁইয়া, তার স্ত্রী কাজল রেখা, ইয়াসিন আরাফাত ওরফে কেরামত এবং নোমানুর রহমান খাঁন। আগামী ১৯ জানুয়ারি মামলাটির তারিখ ধার্য রয়েছে। ওইদিন চার্জশিটটি আদালতে উপস্থাপন করা হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। চার্জশিটে তদন্ত কমকর্তা এছাহাক আলী বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জাল রুপি সংগ্রহ করে প্রতিনিধির মাধ্যমে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সুকৌশলে অন্যায়ভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশে সীমান্তবর্তী জেলায় প্রেরণ করে আসছিল। দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তান থেকে আন্তর্জাতিক চক্রের মাধ্যমে ভারতীয় জাল মুদ্রা কৌশলে সংগ্রহ করে দেশীয় চক্রের মাধ্যমে বিপণনসহ ভারতে পাচার করে আসছিলেন তারা। বাংলাদেশের অপর প্রান্তে এই জাল রুপির চাহিদা থাকার কারণে তারা এভাবে সৃষ্ট জালরুপি নিয়ে যাওয়ার জন্য আসা যাওয়া করত। নোমানুর রহমান জাল রুপি পাচার প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করে এবং ফজলুর রহমান পাচার প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করে। আসামিরা পেশাদার জাল রুপি ব্যবসায়ী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা এ ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।
২০২২ সালের ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ডেমরা ও হাজারীবাগে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় জাল মুদ্রার

কারবারে জড়িত চার্জশিটভুক্ত চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৫ লাখ ভারতীয় জাল মুদ্রা ও মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের এসআই হারুন অর রশিদ ৮ ফেব্রুয়ারি হাজারীবাগ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়