রাষ্ট্রপতির ভাষণের আলোচনায় এমপিরা : শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ফের ক্ষমতায় আসার প্রত্যয়

আগের সংবাদ

বরিশালে ড্রেজিং করা বালু ফের নদীতে, খোয়া যাচ্ছে টাকা!

পরের সংবাদ

কৈলাস সত্যার্থী : শেখ রাসেলের খুনিদের আশ্রয় দেবেন না

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার শিশুপুত্র শেখ রাসেলসহ সপরিবারে হত্যার শিকার হন সশস্ত্রবাহিনীর একদল বিপথগামী সদস্যের হাতে। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ খুনি এখনো বিভিন্ন দেশে রয়েছে। তারা হলেন- আব্দুর রশীদ, শরীফুল হক ডালিম, মোসলেম উদ্দিন, রাশেদ চৌধুরী ও এবিএমএইচ নূর চৌধুরী। এর মধ্যে রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে এবং নূর চৌধুরী কানাডায় অবস্থান করছেন। বাংলাদেশের বারবার দাবির পরও তাদের ফেরত পাঠানো হয়নি। এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে নোবেলজয়ী শিশু অধিকারকর্মী কৈলাস সত্যার্থী বলেছেন, বিশ্ববাসীর উচিত শিশু হত্যাকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় না দেয়া।
গতকাল শুক্রবার ঢাকা সফররত নোবেলজয়ী কৈলাস সত্যার্থী ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন শেষে নিজের অনুভূতি প্রকাশের সময় এই আহ্বান জানান। এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাদুঘরের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ৩১তম বিসিএস ক্যাডার এসোসিয়েশনের ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে অংশ নিতে ঢাকা এসেছেন তিনি। আজ শনিবার বিকালে বাংলা একাডেমিতে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। পরে পরিবেশিত হবে বাউল গান। তার আগে বাংলা একাডেমি চত্বরে শিশুদের জন্য থাকছে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে এবারের বর্ষপূর্তির আলোচনার বিষয় ‘উইল ফর চিলড্রেন’। যেখান থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিশুপুত্র শেখ রাসেলের হত্যাকারীদের বিদেশ থেকে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর ও শিশুদের ওপর নিপীড়ন বন্ধেরও দাবি জানানো হবে। মানবাধিকারকর্মী সত্যার্থী জানান, ১৫ আগস্টের খুনিদের শাস্তি দেয়ার মাধ্যমে ন্যায়বিচার বিশ্ববাসীকে নিশ্চিত করতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে শান্তিতে নোবেল জয় করেন কৈলাস সত্যার্থী। ১৯৫৪ সালের ১১ জানুয়ারি ভারতের মধ্যপ্রদেশে জন্ম নেয়া এই নোবেলবিজয়ী ১৯৮০ এর দশকে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চাকরি ছেড়ে পুরোদমে শিশু অধিকার আন্দোলনে সম্পৃক্ত হন। গড়ে তোলেন ‘বাচপান বাঁচাও’ আন্দোলন। এ পর্যন্ত ভারতে ৮০ হাজারেরও বেশি শিশুকে শ্রমের দাসত্ব থেকে মুক্ত করেছে তার প্রতিষ্ঠান। এসব শিশুর পুনর্বাসন আর শিক্ষাও নিশ্চিত করেছে ‘বাচপান বাঁচাও’। দুই দশক ধরে শিশুদের কল্যাণে কাজ করা মানুষটি নোবেল পুরস্কারও উৎসর্গ করেছিলেন শিশুদের জন্যই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়