কাগজ প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরীকে একাদশ জাতীয় সংসদের উপনেতা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় মতিয়া চৌধুরীকে উপনেতা মনোনীত করা হয়। সভা শেষে দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। জাতীয় সংসদ ভবনের নবম তলায় সরকার দলীয় সভা কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সংসদীয় দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 
আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংসদ উপনেতা হিসেবে মতিয়া চৌধুরীর নাম স্পিকারকে জানানো হবে। এর পর সংসদ সচিবালয় থেকে দুয়েক দিনের মধ্যে মতিয়া চৌধুরীকে সংসদ উপনেতা হিসেবে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে জানা গেছে।
গত বছর ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদের উপনেতা সাজেদা চৌধুরী বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। সাজেদা চৌধুরীর স্থলে মতিয়া চৌধুরীকে সংসদ উপনেতা মনোনীত করল আওয়ামী লীগ।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ এবং প্রতিযোগিতামূলক হবে বলে দলীয় সদস্যদের জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনে বিজয়ের জন্য দলের সংসদ সদস্যদের এখন থেকেই মানুষের কাছে গিয়ে ভোট চাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।  
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নির্দেশ দিয়েছেন। সভা শেষে এ সভায় উপস্থিত আওয়ামী লীগের কয়েকজন সংসদ সদস্যের সঙ্গে কথা বলে এ সব তথ্য জানা যায়।
সূত্র জানায়,  এ সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ এবং প্রতিযোগিতামূলক হবে। নির্বাচনে বিজয়ের জন্য এখন থেকেই ভালোভাবে কাজ করতে হবে। বিজয়ের জন্য সংসদ সদস্যদের সবাইকে নিজ নিজ এলাকায় মানুষের কাছে যেতে হবে। মানুষের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে হবে। মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে আমাদের এই তিন মেয়াদের সরকার যে সব উন্নয়ন কাজ করেছে সে উন্নয়নগুলো তাদের কাছে তুলে ধরতে হবে।
সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের সংসদ সদস্যদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, সংসদ সদস্যদের সবার তথ্যই আমার কাছে আছে। নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়ার সময় এ বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দেয়া হবে। তিনি বলেন, আমার কাছে সার্ভে রিপোর্ট আছে। সার্ভে রিপোর্ট বিবেচনায় নিয়েই দলের প্রার্থী মনোনয়ন দেব। জনগণ থেকে যারা বিচ্ছিন্ন, এলাকায় যায় না, মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে না, মনোনয়নের ক্ষেত্রে তাদের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। যারা দলীয় নির্দেশ অমান্য করে দলের বিরুদ্ধে কাজ করেছে, যারা জনপ্রিয়তা হারিয়েছে তাদের মনোনয়ন দেয়া হবে না।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সফলতা ও উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরার পাশাপাশি বিরোধী দল বিএনপি-জামায়াতের অপকর্মগুলোও মানুষের কাছে তুলে ধরতে বলেন। তিনি বলেন, অতীতে তারা ক্ষমতায় থেকে যে দুর্নীতি করেছে, লুটপাট, সন্ত্রাস, হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সেগুলো মানুষকে বলতে হবে। পাশপাশি বিরোধী দলে গিয়ে আন্দোলনের নামে তারা যে আগুন সন্ত্রাস করেছে, মানুষ খুন করেছে, জনগণের সম্পদ নষ্ট করেছে এগুলোও মানুষের কাছে গিয়ে বলতে হবে, মানুষকে মনে করিয়ে দিতে হবে।