আ.লীগ নেতা টিপু হত্যার প্রতিবেদন পেছাল

আগের সংবাদ

মাদকের বিরুদ্ধে ‘নতুন যুদ্ধ’ : তালিকায় ৯৩ শীর্ষ মাদক কারবারি, এক লাখ মাদকাসক্ত, জনসচেতনতা বাড়াতে প্রস্তুত অ্যাপ

পরের সংবাদ

নির্বাহী আদেশ : বিদ্যুতের দাম গ্রাহক পর্যায়ে বাড়ল

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সরকারের নির্বাহী আদেশে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ইউনিটপ্রতি ১৯ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত দাম জানুয়ারি মাসের বিদ্যুৎ বিল থেকেই কার্যকর হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার এক আদেশে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়।
বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। এই বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
জানা গেছে, গত নভেম্বর মাসে বিদ্যুৎ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়ায়। বর্ধিত মূল্য ডিসেম্বর মাস থেকে কার্যকর করা হয়। পাইকারিতে দাম বাড়ানোর একদিন পর বিদ্যুৎ বিতরণকারী ৬টি কোম্পানি ডিসেম্বর থেকেই খুচরা দাম বাড়াতে বিইআরসির কাছে আবেদন করে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২ জানুয়ারি এসব আবেদন নিয়ে শুনানি করে বিইআরসি। ওই শুনানিতে বিদ্যুতের দাম ১৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ দাম বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল বিইআরসির কারিগরি কমিটি। এরপর ১৫ জানুয়ারির মধ্যে মতামত জানাতে বলা হয়। কিন্তু এরই মধ্যে সরকারের নির্বাহী আদেশে বৃহস্পতিবার দাম বাড়ানোর ঘোষণা এলো। যেহেতু পাইকারিতে ১৯ পয়সা বাড়ানো হয়েছিল, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই গ্রাহক পর্যায়েও ১৯ পয়সা বাড়ানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
১ জানুয়ারি থেকে বিদ্যুতের নতুন দাম কার্যকর হবে। একইসঙ্গে এখন থেকে প্রতি মাসে বিদ্যুতের খুচরা দাম নিয়মিত সমন্বয় করা হবে বলেও জানা গেছে।
আইন সংশোধন করে গত ১ ডিসেম্বর ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন), অধ্যাদেশ, ২০২২’ গেজেট আকারে প্রকাশ করে সরকার। এই সংশোধিত আইনের মধ্য দিয়ে বিশেষ ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সরাসরি বাড়ানো বা কমানোর ক্ষমতা সরকার নিজ হাতে নিয়েছে। এতদিন বিইআরসি গণশুনানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণ করত। কিন্তু আইন সংশোধনের পর সরকার নির্বাহী আদেশে এই প্রথম বিদ্যুতের দাম বাড়াল।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) দেশের সরকারি-বেসরকারি সব বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে চুক্তি অনুসারে নির্ধারিত দামে বিদ্যুৎ কিনে নেয়। এরপর তারা উৎপাদন খরচের চেয়ে কিছুটা কম দামে ৬টি বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির কাছে বিক্রি করে। ঘাটতি মেটাতে পিডিবি সরকারের কাছ থেকে ভর্তুকি নেয়। কিন্তু বিতরণ সংস্থাগুলো কোনো ভর্তুকি না পেলেও নিয়মিত মুনাফা করছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়