সংসদে অর্থমন্ত্রী : গত বছরের ১১ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯.৫৮ বিলিয়ন ডলার

আগের সংবাদ

তারল্য সংকটে বিপাকে ব্যাংক : সংকট উত্তরণে দরকার দৃশ্যমান রাজনৈতিক অঙ্গীকার, এখনই সমাধান না করলে সংকট আরো গভীর হবে

পরের সংবাদ

শ ম রেজাউল করিম : সুযোগ পেলেই লাখ লাখ মানুষ মারবে বিএনপি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি সুযোগ পেলেই লাখ লাখ মানুষকে মেরে ফেলবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি হওয়ার পরেও বিএনপি অফিসিয়াল রেকর্ড থেকে তাকে সাসপেণ্ড করেনি। তারা এখনো সুযোগের অপেক্ষায় আছে। যদি সুযোগ পায় বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষকে একদিনে মেরে ফেলবে। দেশকে সা¤প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করবে। মুক্তিযুদ্ধে যারা অংশ নিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ্বাস করেন তাদের অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করবে। তাদের জেলে পাঠাবে। মৃত্যুদণ্ড দেবে। যারা এখন রাজাকারদের বিচারকাজ করেছে তাদেরই নতুন করে তারা ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলাবে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে স¤প্রীতি বাংলাদেশ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিপ্লবী, জাতীয়তাবাদী, ক্ষণজন্মা নেতা। বিপ্লবের ধারাবাহিকতা শুরু হয়েছিল ছাত্রজীবন থেকে। যে বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি সেই বাংলাদেশের রূপকার ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি যদি ১০ জানুয়ারি ফিরে না আসতেন তাহলে আমাদের বিজয় অসম্পূর্ণ থাকত। বঙ্গবন্ধু একটি বিশ্বাস, দর্শন, আদর্শ, পথচলার পাথেয় ও অবিনাশী সত্তা। বিশ্বের নির্যাতিত, নিষ্পেষিত, নিপীড়িত মানুষরা যখনই পথ হারাবে, পথ খুঁজতে হলে বঙ্গবন্ধুর জীবনালেখ্য, তার সংগ্রামী জীবন থেকে অনুপ্রেরণা খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ নির্মাণে তার কন্যা শেখ হাসিনা কাজ করে চলছেন। সা¤প্রদায়িকতাকে রুখে দাঁড়ানো, উন্নয়নকে অভীষ্ট লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়া, সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদ- জনগণের মৌলিক অধিকার ও সকল সম্পদের মালিক হবে জনগণ- অধিকার জনগণকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সা¤প্রদায়িক শক্তির উত্তরসূরিরা বাংলাদেশের রাজনীতি, প্রশাসন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাহিনীতে- সব জায়গায় ছদ্মবেশে এখনো আছে। কেউ কেউ নব্য আওয়ামীলীগার হয়েছেন, কেউ কেউ আমাদের চেয়ে বেশি জয় বাংলা স্লোগান দেন। কিন্তু মৌলিক চরিত্র তাদের ভেতরে সুপ্ত আছে। সময় হলে তারা সেই চরিত্র নিয়ে আবার হাজির হতে পারে। তাই ১০ জানুয়ারিকে উদযাপন করার সময় মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির ঐক্য দরকার।
স¤প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযুষ বন্দোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভোরের কাগজের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, স¤প্রীতি বাংলাদেশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. বিমান বড়ুয়া প্রমুখ।

ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ১০ জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে না ফিরলে কী হতো। তাকে ২৬ মার্চ গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের কারাগারে রাখা হলো। তার বিরুদ্ধে সাতটি অভিযোগের মধ্যে তিনটিই ফাঁসি দেয়ার মতো। কিন্তু জাতির জনককে বাঁচিয়ে রাখা হলো। এক্ষেত্রে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্ধিরা গান্ধীর অবদান রয়েছে। এসব নিয়ে অনেক গবেষণা আছে।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে তার ভাষণে দুবার বলেছিলেন, যড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি। আমাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থা কী হবে সেটাও তিনি মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। কত রক্ত ও আত্মাহুতির বিনিময়ে এই দেশের জন্ম হয়েছে, তা নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। কারণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ও গণহত্যার সমর্থকরা সক্রিয়। তাদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।
ড. জিনাত হুদা বলেন, ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীনের দিন বিষণ্ন ছিল। কারণ, তখনো এই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের রূপকার বঙ্গবন্ধু এসে পৌঁছাননি। ১০ জানুয়ারি তিনি আসার মাধ্যমে দেশকে পূর্ণতাদান করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ফেরার মাধ্যমে জনগণ জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও অসা¤প্রদায়িকতার জন্য লড়াই শুরু করে।
বিমান চন্দ্র বড়ুয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু বীরত্বপূর্ণ নেতৃত্বে এ দেশের সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। তিনি ইতিহাসের অমর সাক্ষী হয়ে মুক্তিকামী মানুষের হৃদয়ে আজীবন বেঁচে থাকবেন। তার নীতি আদর্শ ও নেতৃত্ব প্রজন্ম থেকে প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ, অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়