সংসদে অর্থমন্ত্রী : গত বছরের ১১ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯.৫৮ বিলিয়ন ডলার

আগের সংবাদ

তারল্য সংকটে বিপাকে ব্যাংক : সংকট উত্তরণে দরকার দৃশ্যমান রাজনৈতিক অঙ্গীকার, এখনই সমাধান না করলে সংকট আরো গভীর হবে

পরের সংবাদ

ওয়াইজঘাটে তিন দিনের পৌষ মেলা শুরু আজ : অংশ নিচ্ছে ২ হাজার শিল্পী

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : শীতের দাপট চলছে। দেশজুড়ে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তবে ঢাকায় ঝকঝকে রোদ উষ্ণতা ছড়াচ্ছে। এই উষ্ণতার মাঝে নগর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে আবহমান বাংলার পিঠাপুলিতে পৌষ হয়ে ওঠে অনন্য।
বাংলার এই ঋতুকে উদযাপনের জন্য আজ বৃহস্পতিবার থেকে পুরানো ঢাকার ওয়াইজ ঘাটের বুলবুল ললিতকলা একাডেমির মাঠে শুরু হতে যাচ্ছে তিন দিনের পৌষ মেলা। এবারের উৎসবে ৮০টি সংগঠনের ২ হাজার শিল্পী অংশ নিচ্ছেন বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন। রকমারি পিঠাপুলির স্বাদ উপভোগের পাশাপাশি দর্শনার্থীদের জন্য প্রতিদিনই মঞ্চে থাকবে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। লোকায়ত জীবননির্ভর সংযাত্রা, যাত্রাপালা এবং নৃত্য-গীত ও কবিতার পরিবেশনায় সাজানো হয়েছে এ আয়োজন। পৌষ মেলা উদযাপন পরিষদ আয়োজিত তিন দিনের মেলা শেষ হবে শনিবার। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে মেলা।
গতকাল বুধবার শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার হলে পৌষ মেলা উদযাপন পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। পরিষদের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছের সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়। এছাড়া বক্তব্য রাখেন নাট্যব্যক্তিত্ব ঝুনা চৌধুরী, মিলন কান্তি দে, মানজার চৌধুরী সুইট, বাবুল বিশ্বাস, রফিকুল ইসলাম, বাউল দেলোয়ার প্রমুখ।
গোলাম কুদ্দুছ বলেন, মূলত কৃষিনির্ভর জীবনের প্রতিচ্ছবি এই পৌষ মেলা। কৃষিভিত্তিক সমাজে সবাই মিলে পিঠাপুলি খাওয়ার মাধ্যমেও সামাজিক বন্ধনের প্রকাশ ঘটে। সম্প্রীতির সেই দৃশ্যকল্প বলে যায় আমাদের শেকড়ের কথা। নতুন প্রজন্মের সঙ্গে সেই শেকড়ের পরিচয় ঘটানো এবং বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়াই এই মেলার লক্ষ্য।
বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, গ্রামীণ সমাজ এখন সংস্কৃতিবিমুখ হয়ে পড়ছে। শহরেও নিজস্ব সংস্কৃতি লালনের প্রবণতা দেখা যায় না। মানুষের জীবনে বাঙালির চিরায়ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরাই আমাদের এ আয়োজনের লক্ষ্য।
আজ বৃহস্পতিবার মেলা শুরু হবে সকাল ১০টায়। তবে, বেলা আড়াইটায় উৎসবের উদ্বোধন করবেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম। গোলাম কুদ্দুছের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বিশেষ অতিথি থাকবেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি ঝুনা চৌধুরী, বুলবুল ললিতকলা একাডেমির (বাফা) সভাপতি হাসানুর রহমান বাচ্চু। স্বাগত বক্তব্য দেবেন বিশ্বজিৎ রায়।
প্রথমদিন উৎসব মঞ্চে দলীয় সংগীত পরিবেশন করবে ক্রান্তি,

বহ্নিশিখা, মহীরুহ ও বাফা। দলীয় আবৃত্তি কথা আবৃত্তিচর্চা কেন্দ্র আর দলীয় নৃত্য বাফা, কত্থক নৃত্য সম্প্রদায় ও জিনিয়া নৃত্যকলা একাডেমি পরিবেশন করবে। বাউল গান নিয়ে আসবেন সমীর বাউল ও শাহনাজ বাউল। একক গান গাইবেন ড. তাপসী ঘোষ, সমর বড়ুয়া, মোহনা দাস, শান্তা সরকার, খোন্দকার খায়রুজ্জামান কাইউম প্রমুখ। একক আবৃত্তি করবেন আজহারুল হক আজাদ ও অনন্যা লাবণী পুতুল প্রমুখ। দিনের সবশেষ বিশেষ আয়োজন হিসেবে থাকছে মানিকগঞ্জের দলে মহুয়া পালা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়