ঢাকা-ওয়াশিংটন : রোহিঙ্গা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা

আগের সংবাদ

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি : শিক্ষার্থী পায়নি ২০০ প্রতিষ্ঠান

পরের সংবাদ

নানা আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। গতকাল মঙ্গলবার যথাযথ মর্যাদায় সারাদেশে দিবসটি পালন করে আওয়ামী লীগ। সকালে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
দিবসটি উপলক্ষে প্রথমেই জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, এডভোকেট কামরুল ইসলাম, এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, এডভোকেট আফজাল হোসেন, মির্জা আজম ও শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, প্রচার সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল প্রমুখ।
আন্দোলনের নামে সহিংসতা হলে আ.লীগ জবাব দিতে প্রস্তুত : বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এখন অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী। আমরা যে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র ও আন্দোলনের নামে সহিংসতার সমুচিত জবাব দিতে প্রস্তুত। ১০ ডিসেম্বর তো গেল, আওয়ামী লীগ কী মোকাবিলা করেনি?
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে আমরা বিজয় অর্জন করি। কিন্তু এই বিজয় পূর্ণতা পায়নি যতক্ষণ না পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি বিজয়ের মহানায়ক শেখ মুজিব মুক্তি পান। তার অনুপস্থিতিতে বিজয় ছিল অসম্পূর্ণ। সেই অসম্পূর্ণ বিজয় পূর্ণতা পেয়েছিল ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি।
তিনি বলেন, আজকের এই দিনের অঙ্গীকার- বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের আদর্শ রাষ্ট্র আমরা প্রতিষ্ঠা করব। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করব। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়াই আমাদের অঙ্গীকার।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের শ্রদ্ধা : এদিকে দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় প্রেস ক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটি। কমিটির সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্তের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি রেজওয়ানুল হক রাজা, যুগ্ম সাধারণ আইয়ুব ভুঁইয়া, আশরাফ আলী, কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরীসহ কমিটির সদস্য ও সিনিয়র সাংবাদিকরা।
প্রসঙ্গত, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু ২৯০ দিন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি থাকার পর লন্ডন ও নয়াদিল্লি হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশের পবিত্র মাটিতে ফিরে আসেন। সেই থেকে দিনটিকে জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে পালন করছে জাতি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়