ঢাকা-ওয়াশিংটন : রোহিঙ্গা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা

আগের সংবাদ

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি : শিক্ষার্থী পায়নি ২০০ প্রতিষ্ঠান

পরের সংবাদ

গুচ্ছভুক্ত শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি : ভর্তি জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত ক্লাস শুরু হোক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুদের ভোগান্তি লাঘবে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে গুচ্ছভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি চালু হয়। শিক্ষার্থীদের ভ্রমণ ক্লান্তি, আর্থিক সাশ্রয় ও ভোগান্তি কমাতে গুচ্ছভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। প্রথমদিকে এই পদ্ধতি শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের আশা জাগিয়েছিল যাতে শিক্ষার্থীরা কম ভোগান্তিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারে। কিন্তু বাস্তবতায় সব বিশ্ববিদ্যালয় একগুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আওতায় না আসায় জটিলতা কাটেনি। শিক্ষার্থীদের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে হয়েছে। কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন সিদ্ধান্তে তাদের ভর্তি ও মাইগ্রেশন নিয়েও বিপাকে পড়তে হয়েছে, যা দুঃখজনক। এসব সমস্যার মধ্যেই নতুন বছরে এখনো ক্লাস শুরু করতে পারেনি গুচ্ছভুক্ত ২২ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ২১ হাজার শিক্ষার্থী। এখনো ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করতে পারেনি গুচ্ছের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ের অভাবে শিক্ষার্থীদের এমন ভোগান্তি মোটেও কাম্য নয়। এতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা দেশের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য নেতিবাচক। ইতোমধ্যে গুচ্ছবহির্ভূত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিভাগে প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা শেষ হয়েছে। অথচ ক্লাস কবে শুরু হবে এ নিয়ে অনিশ্চিত গুচ্ছভুক্ত শিক্ষার্থীরা। অতীতে জানুয়ারির প্রথম দিন থেকে ক্লাস শুরু হলেও নতুন বছরে ক্লাস শুরুর বিষয়ে গুচ্ছভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষের নীরবতা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য হতাশার। আসন পূরণ না হওয়ায় ক্লাস শুরু নিয়ে রয়েছে দীর্ঘসূত্রতা। ভর্তিসংক্রান্ত কমিটির বক্তব্য, মেরিট লিস্ট প্রকাশের পর শিক্ষার্থীরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও পরে মাইগ্রেশনে সুযোগ পেয়ে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যায়। এরপর ভর্তি হওয়ার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন খালি থাকে। এভাবে ভর্তি পরীক্ষা শেষ করতে বিলম্ব হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পরীক্ষা শেষ করে গুচ্ছ কমিটির দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয়তা এবং ভর্তি প্রক্রিয়ার কার্যক্রম দেরিতে শুরুর মাশুল দিতে হচ্ছে তাদের। সপ্তম মেরিট লিস্ট থেকে মাইগ্রেশন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর গত ২৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করলে আবারো মাইগ্রেশন চালু হয়। এসব জটিলতায় দীর্ঘ সময় জটে থাকায় আরো পিছিয়ে পড়ে গুচ্ছভর্তি কার্যক্রম। আমরা আশা করব ভর্তি প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা কাটিয়ে অবিলম্বে গুচ্ছভুক্ত শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে। সংকট দ্রুত সমাধানের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের হস্তক্ষেপ কাম্য। গুচ্ছভর্তি ও ক্লাস শুরুর অনাকাক্সিক্ষত এই সংকটের কার্যকর সমাধান খোঁজা জরুরি। যে সদিচ্ছা নিয়ে গুচ্ছভর্তি পরীক্ষার মতো একটি সুন্দর উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল তা যেন আর প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষ জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত ক্লাস শুরুর ইচ্ছা পোষণ করেছেন। ইতোমধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে ক্লাস শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা আশা করি, বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও অবিলম্বে আলোচনা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে দ্রুত ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করে ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত নেবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়