‘রেজা বাহিনী’ থেকে রেহাই চান হোটেল ব্যবসায়ী

আগের সংবাদ

২৭ দফাই হবে ভোটের ইশতেহার : বিএনপির ‘রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা’ ঘষামাজার কাজ চলছে > নেয়া হবে সব স্তরের মানুষের মত

পরের সংবাদ

হালদায় বালু তোলা বন্ধে চোর পুলিশ খেলা : হুমকিতে মৎস্য প্রজনন ও সিসি ব্লক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মুহাম্মদ দৌলত, ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) থেকে : হালদা নদীর ফটিকছড়ি অংশে বালু উত্তোলন নিয়ে চলছে চোর পুলিশ খেলা। অভিযানে সাময়িক বন্ধ হলেও ক’দিন পরেই ফের শুরু হয় বালু উত্তোলন। এ যেন থামছেই না।
অথচ এশিয়ার একমাত্র মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা থেকে নির্বিচারে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর জীববৈচিত্র্য যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনিভাবে দুই পাড়ের বেড়িবাঁধ রক্ষায় স্থাপিত সিসি ব্লক হুমকির মুখে পড়েছে। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু হ্যারিটেজ ঘোষিত এ নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একাধিক চক্র।
জানা গেছে, এসব চক্রের নেপথ্যে রয়েছে ক্ষমতাসীন দল যুবলীগ, ছাত্রলীগের কতিপয় নেতা ও স্থানীয় পর্যায়ের কয়েকজন জনপ্রতিনিধি। এহেন তৎপরতায় এলাকাবাসী বাধা দিতে গেলে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে থাকেন সিন্ডিকেটের সদস্যরা।
সরেজমিনে গত ৮ জানুয়ারি উপজেলার সমিতিরহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ নিশ্চিন্তাপুর, আরবানিয়া চৌধুরী ঘাট, নাজিরহাট পৌরসভার পুরাতন ব্রিজ, ভাঙ্গাদিঘীর পাড়, সুয়াবিল ইউনিয়নের বারমাসিয়া, পাটিয়ালছড়ি, সুন্দরপুর অঞ্চলের এককুলিয়া, আজিম চৌধুরী ঘাট, হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের যুগীনিঘাট, ফকিরাচাঁন, ভূজপুরের হরিণা, সিংহরিয়া, নারায়ণহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ জুজখোলা, জমিদার পাড়া, কুলালপাড়াসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে বালু উত্তোলনের মহোৎসব দেখা গেছে। বালু উত্তোলন কাজে কিছু স্থানে সনাতন পদ্ধতির বেলচা ব্যবহার করতে দেখা গেলেও অধিকাংশ স্থানে বসানো হয়েছে ড্রেজার মেশিন।
উল্লেখিত স্থানে প্রতিনিয়ত বালু উত্তোলনের ফলে শত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বেড়িবাঁধ রক্ষার সিসি ব্লক হুমকির মুখে পড়েছে। এছাড়া চলমান শীত মৌসুমে একাধিক স্থানে নদীর চর কেটে নিয়ে যাচ্ছে আরেকটি চক্র।
এ নিয়ে স্থানীয়রা উপজেলা প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দিলেও বালু উত্তোলন ও নদীর চর কাটা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী জানায়, বালু পাচারকারীরা অজুহাত হিসেবে কখনো মসজিদ কিংবা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ, কখনো সরকারি উন্নয়ন কাজের কথা বলে বালু উত্তোলন করে ট্রাক-ট্রলিতে করে নিয়ে যায়। এমতাবস্থায় দ্রুত বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে ফের ভাঙনের মুখে পড়বে প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ হালদা নদী।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাব্বির রহমান সানি ভোরের কাগজকে বলেন, হালদা নদীকে বঙ্গবন্ধু হ্যারিটেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এ নদী থেকে বালু উত্তোলনের সুযোগ নেই। কেউ যাতে বালু উত্তোলন করতে না পারে, সেজন্য প্রশাসন সর্বদা তৎপর। বালু উত্তোলনের খবর পাওয়া মাত্র ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়