‘রেজা বাহিনী’ থেকে রেহাই চান হোটেল ব্যবসায়ী

আগের সংবাদ

২৭ দফাই হবে ভোটের ইশতেহার : বিএনপির ‘রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা’ ঘষামাজার কাজ চলছে > নেয়া হবে সব স্তরের মানুষের মত

পরের সংবাদ

রূপপুর পারমাণবিক রেলরুট পরিদর্শনে জিআইবিআর

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে মালামাল-যন্ত্রপাতি পৌঁছাতে ঈশ্বরদী-পাকশি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য সিগনালিংসহ রেললাইন সংস্কার ও নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেছেন সরকারি রেল পরিদর্শক (জিআইবিআর) রুহুল কাদের আজাদ। 
৩৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের যাবতীয় কাজ শেষ হয়েছে। চলতি মাসের শেষে রেলপথমন্ত্রী এডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করবেন বলে আশা করছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন রেলওয়ে কর্মকর্তারা।
গতকাল সোমবার দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ঈশ্বরদী থেকে পাকশি রেলরুটের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ঘেঁষে নবনির্মিত হার্ডিঞ্জ ব্রিজ স্টেশন পর্যন্ত গ্যাংকার ইঞ্জিনে পরিদর্শন করেন তিনি। এর আগে সকাল ৯টায় পাকশী শতবর্ষের রেলওয়ে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ থেকে মোটরট্রলিতে চড়ে সরকারি রেল পরিদর্শক (জিআইবিআর) রুহুল কাদের আজাদসহ পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রকৌশলী ও বিভাগীয় প্রকৌশলীরা ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন আসেন। এ প্রকল্পের আওতায় ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে নির্মাণকাজ দেখে তিনি বেশ সন্তোষ প্রকাশ করেন। 
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী আসাদুল হক, পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ, পরিবহন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, সেতু প্রকৌশলী আব্দুর রহিম, বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন, প্রকৌশলী-২ বীরবল মণ্ডল, সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী (সংকেত) এম এম, রাজিব বিল্লাহ, সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী শিপন আলী, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিসিএলের জি এম রাসেল আহমেদ, এসিএলের জি এম ইমরান খান প্রমুখ। 
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের প্রকৌশলী-২ বীরবল মণ্ডল জানান, ২০১৮ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল প্রকল্পের মেয়াদ। ভারতের জিপিটি এবং বাংলাদেশের এসইএল ও সিসিএল অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে (জয়েন্ট ভেঞ্চার) ৩৩৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৬ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ রেলপথ, ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন প্ল্যার্টফর্ম উঁচু করা, ইন্টারলকিং সিগন্যালিং ব্যবস্থা, প্রবর্তন ও স্টেশনের কাজ শেষ হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ২৫ দশমিক ৯৫ কিলোমিটার নতুন রেললাইন, ৭টি কালভার্ট, ১৩টি রেল ক্রসিং গেট, একটি ‘বি’ শ্রেণির স্টেশন ভবন, একটি প্ল্যাটফর্ম শেষ করা হয়েছে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আসাদূল হক জানান, ব্রিটিশ আমলের পাইলট ট্রেন চলত। নব্বই দশকের শুরুতেই তৎকালীন সরকার কোনো কারণ ছাড়াই পাইলট ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ রেলপথে শুধু রেলের বিভাগীয় কর্মকর্তাদের মোটরট্রলি মাঝে মধ্যে চলাচল করত। পরিত্যক্ত রেললাইন সরিয়ে আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য দৃশ্যমান রেল সেকশনটি আবার যেন ফিরে পেয়েছে ঐতিহ্য। এই রেলপথটি আবারো যুক্ত হলো দেশের রেল নেটওয়ার্কে।
আনুষ্ঠানিকভাবে এই রেলপথ চালু হলে মোংলা এবং চট্টগ্রাম বন্দরসহ বিদেশ থেকে যে কোনো প্রকার মালামাল এ লাইনে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে স্বল্প খরচে, নিরাপদে সরবরাহ করা যাবে বলে দাবি করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রূপপুর প্রকল্পের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, এই রেলপথ প্রকল্পের আদৌও কোনো কাজে আসবে কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রেলের সঙ্গে পরমাণু প্রকল্পের কোনো সমঝোতা বা চুক্তি হয়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়