‘রেজা বাহিনী’ থেকে রেহাই চান হোটেল ব্যবসায়ী

আগের সংবাদ

২৭ দফাই হবে ভোটের ইশতেহার : বিএনপির ‘রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা’ ঘষামাজার কাজ চলছে > নেয়া হবে সব স্তরের মানুষের মত

পরের সংবাদ

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী : প্রতি মাসে সমন্বয় হবে জ্বালানি ও বিদ্যুতের দাম

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২২’-এ দেয়া ক্ষমতাবলে প্রতি মাসে জ্বালানি তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয়ে একটি কৌশল নির্ধারণ করছে সরকার। নতুন বছরে আগের মতো লোডশেডিংয়ের মুখোমুখি হতে হবে না বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
গতকাল সোমবার রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে সিরাজগঞ্জ ৬৮ মেগাওয়াট সোলার পার্ক প্রকল্পের পাওয়ার পারচেজ এগ্রিমেন্ট (পিপিএ) ও ইমপ্লিমেন্টেশন এগ্রিমেন্ট (আই) স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
উল্লেখ্য, মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর গত ১ ডিসেম্বর ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২২’ জারি হয়। এ অধ্যাদেশ অনুযায়ী বিশেষ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নয়, সরকার ভোক্তা পর্যায়ে জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ ও সমন্বয় করতে পারবে।
বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কবে থেকে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হবে?
এমন প্রশ্নের উত্তরে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন তো একটা সমন্বয় হয়ে গেছে। আমরা একটা ম্যাকানিজম (কৌশল) তৈরি করছি, যাতে প্রতি মাসে এটার সমন্বয় চলতে থাকে। শুধু তেলের ক্ষেত্রে নয়, সব ক্ষেত্রে সমন্বয় হবে। সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ক্ষেত্রে পুরোপুরি নয়, কিছু অংশ সমন্বয় করেছে।
সেটা সমন্বয় করার জন্য সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে। গ্যাসের ক্ষেত্রেও আমরা যদি সমন্বয় করতে পারি, তাতে যে ব্যাকলক হয়ে গেছে সেগুলোতে অ্যাডজাস্টমেন্টে আসা সম্ভব হবে।
নতুন বছরে লোডশেডিং কেমন হবে- জানতে চাইলে নসরুল হামিদ বলেন, এখন আমাদের সিস্টেম লস ৭ শতাংশের মতো। তাহলে অপচয় হচ্ছে কোথায়? গ্রাহক পর্যায়ে তারা সাশ্রয়ী হতে পারেন। রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানা ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্যাস দেয়া হচ্ছে।
নতুন বছরে আগের মতো লোডশেডিং হবে না। আমি এটা আশা করছি না, অবশ্যই না। আমরা গত বছরের চেয়ে অবশ্যই ভালো বিদ্যুৎ সরবরাহ করব।
বিইআরসির গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সুপারিশ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিইআরসি সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, এটা সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। তারা তাদের সময় অনুযায়ী সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে।
এর আগে সোলার পার্ক প্রকল্পের বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির বড় সুবিধা হলো এর ক্যাপাসিটি চার্জ বা ফুয়েল কস্ট কোনোটাই নেই।
আমরা চেষ্টা করছি দেশে যতগুলো নন-এগ্রিকালচারাল ল্যান্ড আছে সেসবকে ছোট ক্যাপাসিটির মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানির আওতায় নিয়ে আসা।
আমাদের লক্ষ্য রয়েছে সৌর এবং বায়ু থেকে দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা। ইতোমধ্যে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাইপলাইনে আছে। এর সঙ্গে ৫০০ মেগাওয়াট যুক্ত হলেই আমাদের টার্গেট পূরণ হবে। তবে এটি বাস্তবায়নে দেড় বছর সময় লাগতে পারে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়