‘রেজা বাহিনী’ থেকে রেহাই চান হোটেল ব্যবসায়ী

আগের সংবাদ

২৭ দফাই হবে ভোটের ইশতেহার : বিএনপির ‘রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা’ ঘষামাজার কাজ চলছে > নেয়া হবে সব স্তরের মানুষের মত

পরের সংবাদ

খুনের দায়ে অভিযুক্ত পৌর কাউন্সিলর : মামলা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার ঈশ্বরদী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড পৌর কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ঈশ্বরদী পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ঈশ্বরদী পৌরসভার উদ্যোগে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সম্প্রতি কড়ইতলা এলাকায় বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চলাচলের বিষয়ে এক নছিমন চালকের সঙ্গে এক লেগুনা চালকের কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে অনাকাক্সিক্ষত ও অপ্রত্যাশিতভাবে মামুন হোসেন নামে এক ব্যক্তি খুন হন। ওই ঘটনার পর প্রত্যক্ষদর্শী কেউ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জানাননি। অথচ হত্যাকাণ্ডের রাতেই নিজের বাড়িতে অবস্থান করা কামাল উদ্দিনসহ তার ভাতিজাকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রাক্ষাকারী বাহিনী। পরবর্তীতে ঈশ্বরদী থানায় দায়েরকৃত মামলায় কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, হত্যাকাণ্ডের সময় কাউন্সিলর ঘটনাস্থলে ছিলেন না। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন বলেও আমাদের মনে হয় না। অথচ সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে ঈশ্বরদী পৌরসভার একজন জনপ্রিয় কাউন্সিলরকে হত্যা মামলায় জড়িয়ে ফাঁসানো হচ্ছে। পৌর পরিষদের পক্ষ থেকে কাউন্সিলর কামালের মুক্তি, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট মামলার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্যানেল মেয়র আবুল হাশেম লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর সচিব জহুরুল হক, কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন, মনিরুল ইসলাম সাবু, জাহাঙ্গীর আলম, আমিনুর রহমান, ওয়াকিল আলম, আব্দুল লতিফ মিন্টু, আবু জাহীদ, ইউসুফ আলী, নারী কাউন্সিলর ফরিদা ইয়াসমিন, রহিমা খাতুন, ফিরোজা বেগম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাতে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পশ্চিম টেংরি কড়ইতলা এলাকায় এক নছিমন চালকের সঙ্গে এক লেগুনাচালকের বিরোধ তৈরি হয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে কয়েকজন যুবক সেখানে এসে বিরোধে জড়ান। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ধস্তাধস্তি চলাকালে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনের ভাই আনোয়ার হোসেন সঙ্গে থাকা পিস্তল বের করে গুলি চালান। এতে রিকশাচালক মামুন হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে নিহত মামুনের মা লিপি খাতুন বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলায় যুবলীগ নেতা কামাল উদ্দিনকে প্রধান আসামি ও তার ভাই আনোয়ার হোসেনকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়