প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য চাকরি মেলা

আগের সংবাদ

গুচ্ছের ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হয়নি : অনিশ্চয়তায় ২১ হাজার শিক্ষার্থী

পরের সংবাদ

ফারদিনের মৃত্যু : দুই মাস পর জামিন পেল বুশরা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশ হত্যামামলায় গ্রেপ্তারের ৫৯ দিন পর তার বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত এই জামিন আদেশ বহাল থাকবে। গতকাল রবিবার ঢাকার ৭ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখারের আদালত এই আদেশ দেন। এ সময় মামলার বাদী ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল শুনানিতে বুশরার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনজীবী মোখলেসুর রহমান বাদল। ফারদিনের বাবার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন হীরন। এর আগে বৃহস্পতিবার এক দফা শুনানি শেষে গতকাল আদেশের দিন রেখেছিলেন আদালত। কিন্তু বাদীপক্ষের আইনজীবী সেদিন শুনানিতে ছিলেন না। সে কারণে গতকাল তাকে শুনানি করার অনুমতি দেন বিচারক।
আইনজীবী বাদল বলেন, এজাহারে বাদী নিজেই বলেছেন, প্রকৃত হত্যাকারীকে চৌকস আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবে। একথায় প্রমাণিত হয়, বুশরা প্রকৃত আসামি নয়। আমরাও চাই দ্রুত বেরিয়ে আসুক আসল ঘটনা। বুশরা মেধাবী শিক্ষার্থী। বিতর্ক করার সময় তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তন্ন তন্ন করে খুঁজেও ফারদিনের মৃত্যুর ঘটনায় বুশরার কোনো সম্পৃক্ততা পায়নি। তাই মানবিক কারণে তার জামিন দেয়া হোক।
এ সময় ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বিচারকের অনুমতি নিয়ে বাদীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেন। আবরার হত্যাকাণ্ডের পর বুয়েট ক্যাম্পাসের রাজনীতিকে তিনি ছেলের ‘হত্যার’ কারণ হিসেবে দেখান। তখন বিচারক তাকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করেন, ‘বুয়েটের ছাত্র রাজনীতির শিকার হয়েছে আপনার ছেলে?’ উত্তরে রানা বলেন, ‘ইয়েস।’ একথায় বিচারক পুলিশ প্রতিবেদন পাওয়া পর্যন্ত জামিন দিয়ে দেন বুশরাকে।
এদিকে মামলার তদন্তকারী সংস্থা ডিবি ইতোমধ্যে জানিয়েছে, ফারদিন খুন হননি, আত্মহত্যা করেছিলেন। আর তার মৃত্যুর সঙ্গে বুশরার কোনো ‘সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি’। সুতরাং আদালতে এ মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, নিখোঁজের তিন দিন পর গত ৭ নভেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফারদিন নূর পরশের লাশ উদ্ধার করে নৌপুলিশ। পরে ৯ নভেম্বর রাতে তার বাবা নুর উদ্দিন রানা রামপুরা থানায় মামলা করেন। মামলায় নিহতের বান্ধবী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আমাতুল্লাহ বুশরাসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পরই বুশরাকে গ্রেপ্তার করে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ড শেষে গত ১৬ নভেম্বর বুশরার জামিন আবেদন খারিজ করে তাকে কারাগারে রাখার আদেশ দেন আদালত। এরপর ৫ ডিসেম্বর হাকিম আদালতে বুশরার জামিন আবেদন আবারো খারিজ হলে তিনি জজ আদালতে আবেদন করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়