প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা : সুনামগঞ্জের হাওরগুলোর পানি কমে যাওয়ায় জলাশয় ও খাল-বিল শুকিয়ে গেছে। ফলে প্রয়োজনীয় পানির অভাবে সেচ সংকট দেখা দিয়েছে। এতে চলতি মৌসুমে বোরো আবাদ নিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন সুনামগঞ্জের হাওড়পাড়ের কৃষক। চাষাবাদ করতে না পারায় বীজতলা থেকে ধানের চারাও তুলছেন না তারা।
জেলার পাকনার হাওড়, করচার হাওড়, ছায়ার হাওড়, হালির হাওড়, নলুয়ার হাওড়, শনির হাওড়, মাটিয়াইন হাওড়সহ বড় বড় সব হাওড়ের উঁচু জমিতে সেচের পানির সংকট দেখা দিয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে সেচ সংকট এখনো তীব্র আকার ধারণ করেনি।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) সূত্রে জানা গেছে, বাজেট না থাকায় কৃষকের সেচের চাহিদা পূরণ করতে পারছে না তারা। ফলে জেলা সদর, শান্তিগঞ্জ, জামালগঞ্জ, দিরাই, জগন্নাথপুর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, দোয়ারাবাজারসহ সাতটি উপজেলার হাজার হাজার কৃষক বোরো আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
কৃষকরা বলছেন, সুনামগঞ্জে বিল সেচে ও হাওরের বাঁধ কেটে মাছ ধরায় বোরো মৌসুমের শুরুতেই সেচ সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।
এদিকে সুনামগঞ্জের দেখার হাওড়ের উঁচু জমি পানিশূন্য হয়ে পড়েছে। হাওড়ে পর্যাপ্ত পানি ছাড়াই শুষ্ক জমিতে চাষ করছেন কৃষকরা।
দেখার হাওড়ের কৃষক সাব্বির মিয়া জানান, কার্তিক মাস থেকে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় মাটি অনেক শুকিয়ে গেছে। সুরমা নদীতে সেচ প্রকল্প চালু করলে মোল্লাপাড়া, পান্ডারগাঁও, মান্নারগাঁওসহ তিন ইউনিয়নের কৃষক দেখার হাওড়ের উঁচু জমিতে চাষাবাদ করতে পারবেন।
বিএডিসি (সেচ) সুনামগঞ্জের সহকারী প্রকৌশলী কাজী হুসনে আরা রাফি ভোরের কাগজকে জানান, বাজেট ও মেশিনারিজ সংকটের কারণে সেচ সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম ভোরের কাগজকে বলেন, এখনো জেলার কোথাও সেচ সংকট তীব্র আকার ধারণ করেনি।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।