কুমিল্লাকে হারের স্বাদ দিল রংপুর

আগের সংবাদ

বাংলাদেশ-ব্রাজিল বাণিজ্য বাড়ানোয় জোর প্রধানমন্ত্রীর

পরের সংবাদ

সাত লাখ টাকার ক্ষতি : ক্ষেতলালে গভীর নলকূপের পানিতে তলিয়েছে আলুক্ষেত

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আখতারুজ্জামান তালুকদার, ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) থেকে : জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার থামড়া গ্রামের পশ্চিমপাশে আহসান হাবিবের মালিকানাধীন গভীর নলকূপ গত শুক্রবার গভীর রাতে শত্রæতামূলকভাবে চালু করে ওই নলকূপের স্কিমের প্রায় ১০ বিঘা জমির আলু ও সরিষা ক্ষেত পানিতে ডুবিয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতিকারীরা। এতে প্রায় আট লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। কৃষকরা শ্যালোমেশিন ও হাত দিয়ে পানি সেচ দিয়ে তলিয়ে যাওয়া ফসল রক্ষা করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এ ঘটনায় উপজেলার থামড়া মাঠের ওই গভীর নলকূপের স্কিমভূক্ত নাজিম উদ্দীন শেখ, শহীদ শেখ, ওয়াহেদ শেখ, জহুরুল ইসলাম, আব্দুল বারিক, আব্দুল মতিন, শেফালি বেগম, আরাম আলী শেখসহ প্রায় ২০-২৫ জন কৃষকের আলু ও সরিষা ক্ষেত গভীর নলকূপের পানিতে ডুবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
গভীর নলকূপের মালিক আহসান হাবীব বাবলু বলেন, ঘটনার দিন হাজিরা শ্রমিক দিয়ে আলু ক্ষেত সেচ দিতেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় নলকূপ ঘরে তালা লাগিয়ে নিজ বাড়িতে রাত্রী যাপন করেন। এ সুযোগে দুষ্কৃতিকারীরা নলকূপ ঘরের দেয়ালের শুড়ঙ্গি দিয়ে বাঁশ ঢুকিয়ে মেইন সুইচ অন করে করলে গভীর নলকূপ চালু হয়। এতে ওই স্কিমের আলু ও সরিষা ক্ষেতসহ প্রায় ১০ বিঘা জমির ফসল পানিতে তলিয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত থামড়া গ্রামের কৃষক নাজিম শেখ বলেন, আমার প্রায় ২৫ শতক সরিষা ক্ষেতসহ অনেকের আলু ক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে। ওই স্কিমে পানিতে ডুবে যাওয়া ১০ বিঘা জমিতে প্রায় ১ হাজার মন আলু উৎপাদন হতো। এতে আনুমানিক বর্তমান বাজার মূল্য ৭০০ টাকা মন হিসেবে ৭ লাখ টাকার আলু ফসলের ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদুর রহমান বলেন, পানিতে ডুবিয়ে ফসলের ক্ষতি করা দুঃখজনক ঘটনা। উপসহকারী কৃষি অফিসারের মাধ্যমে ফসল রক্ষার পরামর্শসহ ওই স্কিমের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা ও ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়