কাগজ ডেস্ক : ফুটবল স¤্রাট পেলের স্বদেশী নেইমার জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠেছেন তার অসাধারণ কলাকৌশলের কারণে। ফুটবল পায়ে অসাধারণ নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে পেলের ১০ নাম্বার জার্সি পড়েই খেলেন তিনি। ফুটবলের কারণে তিনি যতটা আলোচনায় থাকেন তার চেয়ে বেশি আলোচনায় থাকেন তার লাইফস্টাইলের কারণে। সম্প্রতি কাতার বিশ্বকাপের পর থেকে নারী সংক্রান্ত আলোচনা-সমালোচনা যেন পিছুই ছাড়ছে না তার।
ব্রাজিলিয়ান এ ফুটবল তারকা পার্টি, নাইট লাইফ নিয়ে মেতে থাকতে পছন্দ করেন। জীবনে প্রেমেও জড়িয়েছেন অসংখ্যবার। তার জীবনে নারীদের লম্বা তালিকা দিনে দিনে আরো দীর্ঘ হচ্ছে। কাতার বিশ্বকাপ শেষে তিনি জেসিকা তুরিনি নামক এক মডেলের সঙ্গে সম্পর্কে আছেন এমন গুঞ্জন চলছিল। এবার ব্রাজিলিয়ান তারকাকে ঘিরে গুজবের কেন্দ্রবিন্দুতে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের পর্তুগিজ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হোয়াও ফেলিক্সের সাবেক প্রেমিকা মার্গারিদা কোরচেইরো।
কাতার বিশ্বকাপের পরপরই মার্গারিদার সঙ্গে ফেলিক্সের সম্পর্ক শেষ হয়েছে। দুইজনের মধ্যে আস্থার সংকট ছিল। তাছাড়া দুজন দুই শহরে থাকায় ব্যাপারটি আরো ঘনীভূত হয়। শেষ পর্যন্ত তারা তাদের সম্পর্কের ইতি টানেন। এরপরই তার জীবনে নেইমারের প্রবেশের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মার্গারিদার বিভিন্ন ছবিতে লাইক দেন নেইমার। তিনিও নেইমারের ববিতে লাইক দেন। সম্প্রতি মার্গারিদা কিছুদিনের জন্য প্যারিসে গেলে গুজব আরো জোরদার হয়। ব্যাপারটি নিয়ে পত্র-পত্রিকায়ও লেখালেখি শুরু হয়।

নেইমার গণমাাধ্যমের এমন কর্মকাণ্ডে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে মার্গারিদাকে আনফলো করে দিয়েছেন। এছাড়া এ ব্যাপারে তিনি আর কোনো পদক্ষেপ নেননি। তবে মার্গারিদা সমালোচনা বন্ধ করার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কড়া জবাব দিয়েছেন।
নিজের ইনস্টাগ্রামে মার্গারিদা লিখেছেন, ‘আপনারা সবাই জানেন, পত্রপত্রিকায় আমাকে নিয়ে যা লেখা হয় তার কোনো কিছুই আমি পড়ি না। প্রথম কারণ, ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় সেগুলো মিথ্যা। দ্বিতীয় কারণ, যেহেতু সেগুলো মিথ্যা, তাই পড়ার কোনো প্রয়োজন নেই। জীবনে এসব কোনো কিছু যোগ করে না। একটি মেয়ের বন্ধু থাকা, সুখী থাকা ও নিজের মতো চলাকে কি আমরা স্বাভাবিক চোখে দেখব না? এটা অন্যায্য। আমিই এর প্রথম কিংবা শেষ শিকার নই।’
এ প্রসঙ্গে মার্গারিদার এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে তুরিনির কাতার সফর ও নেইমারের নিউ ইয়ার পার্টিতে তার অবস্থানের কারণে নেইমার ও তার প্রেম নিয়েও গুঞ্জন উঠে।