কুমিল্লাকে হারের স্বাদ দিল রংপুর

আগের সংবাদ

বাংলাদেশ-ব্রাজিল বাণিজ্য বাড়ানোয় জোর প্রধানমন্ত্রীর

পরের সংবাদ

‘দেবে যাচ্ছে’ হিমালয়ের জোশীমঠ শহর

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ভারতের হিমালয় অঞ্চলের জোশীমঠ শহরের বহু এলাকা দেবে যাচ্ছে। এতে বসতি এলাকাসহ বিভিন্ন ভবন, মহাসড়ক, অবকাঠামোতে ফাটল তৈরি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ শহরটির প্রায় ২০০ বাসিন্দাকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে সরিয়ে নিয়েছে বলে গতকাল শনিবার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। খবর রয়টার্স।
কয়েক বছর ধরেই বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছিলেন যে, জোশীমঠে ও এর আশেপাশে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পসহ বড় ধরনের নির্মাণকাজ চলার কারণে শহরটি দেবে যেতে পারে। চামোলির জেলাহাকিম হিমাংশু খুরানা জানান, স¤প্রতি জোশীমঠের ছয়শরও বেশি বাড়িতে ফাটল দেখা দেয়ার পর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ১৯৩ জন বাসিন্দাকে হোটেল ও গেস্ট হাউসসহ বিভিন্ন নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে। উত্তরাখণ্ড রাজ্যের চামোলি জেলার শহর জোশীমঠ ‘গেটওয়ে অফ গাড়োয়াল’ নামেও পরিচিত।
খুরানা বলেন, ‘লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া চলমান আছে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বৈজ্ঞানিকরা ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করছেন ও পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেয়া যায় তার উপায় খুঁজছেন। ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের যা যা প্রয়োজন সবকিছু দিয়েই প্রশাসন তাদের সাহায্য করছে।’ ২০২১ সালে চামোলি জেলায় হড়কা বানে দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয় এবং দুটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ভেসে যায়। ওই সময়ই জলবায়ু পরিবর্তন ও বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতের ওপর এর প্রভাব নিয়ে কাজ করা কিছু বিজ্ঞানী পরিস্থিতি নিয়ে হুঁশিয়ার করেছিলেন।

হিমালয় পর্বত অভিযান ও পর্বতারোহণের জন্য প্রতিবছর প্রচুর মানুষ এই শহরটিতে ভিড় জমান। বদ্রীনাথ ও হেমকুণ্ড সাহিবগামী হিন্দু ও শিখ তীর্থযাত্রীদের গমনপথের অন্যতম প্রধান বিরতিস্থলও এই জোশিমঠ। জোশীমঠ বাঁচাও সংগ্রাম সমিতির আহ্বায়ক অতুল সতী ভূমি অবনমন বন্ধ করার ক্ষেত্রে সরকারের নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। তিনি জানান, স্থানীয় বাসিন্দারা অনেকদিন ধরেই এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে আসছিল। পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করতে শুরু করার পর প্রশাসনের ঘুম ভেঙেছে আর এখন তারা ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেছে।
উত্তরাখণ্ড রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রশমণ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক পিযূষ রাউতেলা বলেছেন, ভূগর্ভস্থ একটি প্রাকৃতিক জলাধার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে সম্ভবত ভূমির এ অবনমন ঘটছে। উদ্বিগ্ন কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে কাজ করছে এবং এ সমস্যা রোধ করার একমাত্র উপায় পানির প্রবাহকে চ্যানেলাইজ করে দেয়া।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়