কাগজ প্রতিবেদক : সরকার নির্বাচন নিয়ে ভয়ানক ষড়যন্ত্র করছে- এই মন্তব্য করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে হয়েছে। এবার আর রাতে ভোট হবে না। এবার সরকার আরেক প্রস্তুতি নিয়েছে। ভোরেই সরকারের পুলিশ ও প্রশাসনের অন্যরা মিলে ৬০-৭০ ভাগ করে ফেলবে। পরে ৯টার পর ভোট শুরু হবে।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ফেলানী হত্যা দিবসে সীমান্তে আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আগ্রাসন প্রতিরোধ জাতীয় কমিটি আয়োজিত এ আলোচনা সভায় সংগঠনটির আহ্বায়ক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান সভাপতিত্ব করেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, ডেইলি নিউ নেশন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান প্রমুখ।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমরা বলছি দলীয় সরকারের অধীনে ভোট হবে না। সরকার যে নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে, তার কোনো প্রমাণ কি আমরা জোগাড় করেছি? এবার এমন একজনকে রাষ্ট্রপতি বানানোর প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে, যিনি সরকারের মিষ্টিভাষী ও দীর্ঘদিন সরকারের সঙ্গে কাজ করেছেন। রাজনীতিবিদের তো বিবেক আছে। কিন্তু একজন আমলার বিবেক থাকে না। এইচ টি ইমামের জায়গায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে সদ্য সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে। এভাবেই তারা এগোচ্ছে। এটি কি আমরা মেনে নেব? যদি আমরা না মানি, তবে আমাদের লক্ষাধিক স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করতে হবে। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ভোট পাহারায় বসাতে হবে। তিনি বলেন, জামায়াতের উচিত হবে তাদের পূর্বপুরুষেরা যে অন্যায় করেছে, তার জন্য জাতির সামনে ক্ষমা চেয়ে আন্দোলন শুরু করা।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরো বলেন, ফেলানী হত্যায় আমাদের উচিত হবে ভারতকে চেনা। তারা আমাদের সব দুর্ভোগের কারণ। এ থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে হবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের উচিত হবে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনের সড়কের নাম ফেলানীর নামে করা।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, সীমান্তে ফেলানীর লাশ ঝুলে থাকা মানে হলো বাংলাদেশকে ঝুলিয়ে রাখা।
ক্ষমতার প্রতিযোগিতায় আজ দেশের রাজনৈতিক শক্তি-ব্যক্তি-গোষ্ঠী ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নীরব ভূমিকা পালন করছে। কাঁটাতারে ঝুলন্ত ফেলানীর লাশ ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক। এই ছবি বাংলাদেশের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ও রাজনীতিকদের ভারত তোষণনীতির বিরুদ্ধে তীব্র ধিক্কার।