কুমিল্লাকে হারের স্বাদ দিল রংপুর

আগের সংবাদ

বাংলাদেশ-ব্রাজিল বাণিজ্য বাড়ানোয় জোর প্রধানমন্ত্রীর

পরের সংবাদ

চরফ্যাশনে ওষুধ ব্যবসায় নৈরাজ্য

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এআর সোহেব চৌধুরী, চরফ্যাশন (ভোলা) থেকে : ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন ওষুধ ব্যবসায় নৈরাজ্যের সৃষ্টি হয়েছে চরফ্যাশন উপজেলায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সড়কসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বাজারের অলি গলিতে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে শত শত ওষুধের দোকান। যার শতকরা ২০ ভাগ চলছে পৌরসভা থেকে নেয়া ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে। ছোট বড় এসব ওষুধের দোকানে প্রশিক্ষিত ফার্মাসিস্ট ছাড়া এবং চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াও অবাধে বিক্রি হচ্ছে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক, নিষিদ্ধ ওষুধ, নকল ও নি¤œমানের বিভিন্ন প্রকারের ওষুধসহ মেয়াদোত্তীর্ণ ভেজাল ওষুধ। এছাড়া হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় যৌন উত্তেজক ওষুধ।
ফলে রোগ নিরাময়ের চেয়ে জটিল রোগে আক্রান্ত ও আর্থিক, শারীরিক এবং মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রোগী ও তার স্বজনরা। যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবন করে তরুণ কিশোর ও যুবকরা সমাজের জন্য বোঝা হয়ে উঠছেন বলে মনে করেন কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে কাজ করা একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। এসব ওষুধ ব্যবসায়ীরা ড্রাগ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। পাশাপাশি ফার্মাসিস্ট নিয়োগ ও বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিলের নিয়মনীতিও মানছেন না অনেক ব্যবসায়ী। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সড়কে শত, শত ওষুধের দোকানে রয়েছে অল্প পারিশ্রমিকের অদক্ষ কর্মচারী।
আর এসব কর্মচারীরাই নিজেদের পল্লী চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে রোগী দেখেন এবং জটিল রোগের ওষুধ বিক্রি করেন। ফার্মেসি মালিকরা আবার এসব কর্মচারীকেই হাসপাতালের রোগী ধরার দালাল হিসেবেও ব্যবহার করছেন।
এছাড়াও ৪০/৫০ ভাগ কমিশনে ক্রয় করা মানহীন ভেজাল ওষুধ রোগী বা ভোক্তাদের কাছে বেশি মূল্যে (এমআরপি) বিক্রির মাধ্যমে প্রতারণা করার অভিযোগ রয়েছে ফার্মেসিগুলোর বিরুদ্ধে।
ওষুধ ক্রেতা পৌরসভার বাসিন্দা মাইনুল ইসলাম জানান, আমার পরিবারের অসুস্থ বাবা ও ভাইয়ের জন্য প্রতি মাসে প্রায় ৬ হাজার টাকার ওষুধ লাগে। যা ওষুধ বাজারের ড্রাগ এন্ড কেমিস্ট সমিতির সিন্ডিকেটের জন্য এমআরপি মূল্যেই কিনতে হচ্ছে। চরফ্যাশন উপজেলার সচেতন নাগরিকরা দ্রুত এসব নকল, মানহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি এবং ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন ওষুধের দোকান বন্ধে ভোক্তা অধিকারের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের মাধ্যমে দালাল ও প্রতারক ব্যবসায়ী চক্রকে আটকের দাবি জানান।
বাজারের একাধিক ওষুধ ব্যবসায়ীরা জানান, ড্রাগ লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছি। ভোলা ড্রাগ সুপার ইকবাল চৌধুরী বলেন, যেসব ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স নেই তাদেরকে লাইসেন্স আবেদন করার জন্য বলা হয়েছে। আর অবৈধ ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়