কুমিল্লাকে হারের স্বাদ দিল রংপুর

আগের সংবাদ

বাংলাদেশ-ব্রাজিল বাণিজ্য বাড়ানোয় জোর প্রধানমন্ত্রীর

পরের সংবাদ

কুমিল্লায় হাড়কাঁপানো শীত : ফুটপাতের পুরনো কাপড়ই ভরসা নি¤œবিত্তদের

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রিপন আহমেদ ভূঁইয়া, চান্দিনা (কুমিল্লা) থেকে : পৌষের মাঝামাঝিতে হাড়কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলাসহ জেলার জনজীবন। উচ্চ, মাধ্যবিত্ত ও নি¤œমধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা শপিংমল, মার্কেটগুলোতে গিয়ে গরম পোশাক কিনলেও নি¤œবিত্ত ও ছিন্নমূল পরিবারের সদস্যদের ফুটপাতের পুরাতন কাপড়েই ভরসা। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, টানা তিনদিন কুমিল্লা জেলায় সূর্যের দেখা মিলেনি। সন্ধ্যার আগেই কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে সর্বত্র। ঘনকুয়াশার সঙ্গে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম কোনের ৮-১০ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হওয়া হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীত যেন হাড়ে গিয়ে বিঁধছে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। দিনের বেলাও খরকুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে ছিন্নমূল ও নি¤œ আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। এদিকে শীত নিবারণে ফুটপাতের ভাসমান কাপড়ের দোকানে ভিড় জমিয়েছে নি¤œবিত্তরা। কেউবা নিজের জন্য, কেউবা পরিবারের জন্য গরম কাপড় কিনে নিচ্ছেন। ক্রেতাদের বেশির ভাগ চাহিদায় রয়েছে শিশুদের পোশাক। তারা শিশুদের জন্য কিনে নিচ্ছেন সোয়েটার, টাউজার, মোজা ইত্যাদি। এছাড়া রিকশাচালক থেকে শুরু করে শ্রমিক পর্যায়ের লোকদের ভিড় ‘টাল’ (পুরাতন কাপড়ের স্তূপ) দোকানগুলোতে। ওইসব দোকানে ২০ টাকা থেকে ২০০ টাকার মধ্যেই মিলছে ছোট-বড় যে কোনো ধরনের গরম পোশাক। অপরদিকে, ফুটপাতের ভাসমান কাপড়ের দোকানগুলোতে নি¤œমধ্যবিত্তদের ভিড়ও দেখা গেছে।
রিকশাচালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘যে শীত পড়ছে, রাস্তায় পেসেঞ্জার নাই। তাই কামাই নাই। রাস্তার লগে পুরান কাপড়ের দোহান থাইকা নিজের ও পরিবারের জন্য শীতের কাপড় কিনছি।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা-বাগুর বাস স্টেশনের পাশে ফুটপাতে কাপড় বিক্রেতা আব্দুল আলিম বলেন, ‘তীব্র শীত থাকায় গরম কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে। বাজারের ফুটপাতগুলোতে স্থায়ী ব্যবসায়ীরা থাকে, তাই স্টেশন এলাকায় এসে বিক্রি করছি। প্রচুর বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন অন্তত ৪০-৫০ হাজার টাকার গরম কাপড় বিক্রি করতে পারছি।’
চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তাপস শীল বলেন, ‘শীতে এমন পরিস্থিতিতে সবাইকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বিনা প্রয়োজনে কেউ যেন ঘরের বাইরে বের না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে আমরা যে পরিমাণ কম্বল পেয়েছি, ইতোমধ্যে সেগুলো বিতরণ শেষ হয়েছে। আমরা আরো কিছু শীতবস্ত্র কিনেছি। শিগগিরই সেগুলো বিতরণ করব।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়