সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল : শান্তিপূর্ণ গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৫ শতাংশ

আগের সংবাদ

জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী : নির্বাচনের আগে দেশে ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে > উদ্ভট ধারণা প্রশ্রয় দেবেন না

পরের সংবাদ

শেরপুরে বন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ছাড়পত্র বাণিজ্যের অভিযোগ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

খোরশেদ আলম, শেরপুর থেকে : শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তে প্রায় ৪০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বনভূমি ও বনাঞ্চল রয়েছে। ১৯৯২ সালে ময়মনসিংহ বনবিভাগের আওতায় শেরপুরে সীমান্তবর্তী তিনটি উপজেলার প্রায় ৪০ কিলোমিটার গারো পাহাড়ে সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম হাতে নেয় সরকার। গারো পাহাড়ে বসবাসকারী হতদরিদ্র পরিবারের লোকজনকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থে গড়ে তোলা হয় এ সামাজিক বনায়ন। বনের ওপর নির্ভরশীলদের করা হয় অংশীদার। বন সৃজন করে হেক্টরপ্রতি একজনকে ১০ বছর মেয়াদে অংশীদার করে চুক্তিনামা দলিল দেয়া হয়। এভাবে শত শত হেক্টর জমিতে গড়ে তোলা হয় সামাজিক বনায়ন। ১০ বছর পর পর সৃজনকৃত বনের কাঠ মাপজোক করে প্লট আকারে নিলামে বিক্রি করা হয়। কাঠ বিক্রির ৪৫ শতাংশ টাকা অংশীদাররা পান। ৪৫ শতাংশ পান সরকার। আর ১০ শতাংশ রাখা হয় পুনরায় বন সৃজনের জন্য। অভিযোগ রয়েছে, সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম শুরুর ১০ বছর পর থেকেই শত শত হেক্টর জমির ওপর সৃজনকৃত নিলামে বিক্রি করা কাঠ স্থানান্তরিত করার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র বাণিজ্য চালিয়ে আসছে স্থানীয় বন কর্মচারীরা। মূলত প্রতি ট্রাক কাঠ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিতে হলে ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয়। তবে নিয়ম অনুযায়ী নিলামে ক্রয়কৃত কাঠের ছাড়পত্র বিনামূল্যে দেয়ার কথা। কিন্তু এখানে টাকা ছাড়া ছাড়পত্র দিচ্ছেন না বন কর্মচারীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ব্যবসায়ীর অভিযোগ, প্রতি ট্রাক কাঠের ছাড়পত্র নিতে ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বন কর্মকর্তাকে দিতে হয় চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। টাকা না দিলে ছাড়পত্র মিলছে না। নানা অজুহাতে ট্রাকে ভর্তি করা কাঠ ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। একই সঙ্গে নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। গত দুই যুগ ধরে এভাবেই চলছে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বন কর্মকর্তাদের ছাড়পত্র বাণিজ্য।
তবে বন কর্মকর্তারা লাখ লাখ টাকা ছাড়পত্র বাণিজ্য চালিয়ে আসলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ তো দূরের কথা, মুখ পর্যন্ত খুলতে সাহস পায় না ব্যবসায়ীরা।
সম্প্রতি রাংটিয়া ও গজনী বিট এলাকায় ৪৬ প্লট নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। এসব কাঠ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিতে বন কর্মকর্তাদের ছাড়পত্র বাণিজ্য অব্যাহত রয়েছে। তবে বিষয়টি স্বীকার করতে রাজি হননি বন কর্মকর্তারা। ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই।’ শেরপুরের সহকারী বন সংরক্ষক আবু ইউসুফ বলেন, ‘যারা টাকা নিচ্ছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলুন।’
রাংটিয়া সদর বিট কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম আকন্দ বলেন, ‘ছাড়পত্র দিতে কোনো টাকা নেয়া হয় না। যদি কোনো ব্যবসায়ী এ অভিযোগ করে থাকেন, সেটা ষড়যন্ত্র।’
রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘কারা টাকা নিচ্ছেন তা আমার জানা নেই। বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়