সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল : শান্তিপূর্ণ গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৫ শতাংশ

আগের সংবাদ

জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী : নির্বাচনের আগে দেশে ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে > উদ্ভট ধারণা প্রশ্রয় দেবেন না

পরের সংবাদ

পেলের নামে স্টেডিয়াম

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : দীর্ঘদিন মরণব্যাধি ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই শেষে ২৯ ডিসেম্বর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ফুটবল সম্রাট পেলে। তার শেষ শ্রদ্ধার অনুষ্ঠানে যোগ দেন ফিফাপ্রধান জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। সেখানে তিনি বলেন, ফিফা ২১১টি দেশকে তাদের একটি স্টেডিয়ামের নামকরণ পেলের নামে করার জন্য অনুরোধ করেছে। ফিফার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সবার আগে পেলের নামে স্টেডিয়ামের নামকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেপ ভার্দে। আফ্রিকার দেশটির জাতীয় স্টেডিয়াম নাম বদলে রাখা হবে প্রয়াত ফুটবল কিংবদন্তির নামে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী এই ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া পেলের মরদেহ মেমোরিয়া নেকরোপোল একিউমেনিকা সমাধিস্থলে সমাহিত করা হয়েছে। দুই দিনব্যাপী শেষকৃত্যে বিভিন্নভাবে অংশগ্রহণ করেছেন প্রায় আড়াই লাখ মানুষ।
মধ্য আটলান্টিকের দ্বীপরাষ্ট্র কেপ ভার্দে তাদের জাতীয় স্টেডিয়ামের নাম পাল্টে পেলের নামে রাখবে। কেপ ভার্দের রাজধানী প্রাইয়ার বাইরে অবস্থিত এস্তাদিও ন্যাসিওনাল দে কাবো ভার্দে স্টেডিয়াম। ১৫ হাজার আসনের এই স্টেডিয়াম দেশটির জাতীয় স্টেডিয়াম। চীনের সরকারের সহায়তায় ২০১০ সালে এই স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১২ সালে নির্মাণকাজ শেষ হলেও উদ্বোধন করা হয় ২০১৪ সালে। এই স্টেডিয়ামের নাম পাল্টে পেলের নামে রাখা হবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এছাড়া কাতার বিশ্বকাপের সময় পেলে অসুস্থ হয়ে পড়লেও সেখানে কোনো শোকের ছায়া নামেনি। বিশ্বকাপের উচ্ছ¡াসে হয়তো শোকের ছায়া নামতে দেননি ঈশ্বর। সেই সময় চিকিৎসকরা তো ব্রাজিলের তারকাকে নিয়ে আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন।
কারণ কোনো কিছুই যে তার শরীরে কাজ করছিল না। শুধু ছিল সময়ের অপেক্ষা। অবশেষে সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এই তারকা ফুটবলার তিনবার বিশ্বকাপ জিতেছিলেন ১৯৫৮, ১৯৬২ এবং ১৯৭০ সালে। বিশ্বের আর কোনো খেলোয়াড়ের এমন বিরল রেকর্ড নেই। ১৯৫৮ সাল এবং ১৯৭০ সালের ফাইনালে গোলও করেছিলেন পেলে। তাছাড়া ব্রাজিল জাতীয় দল ছাড়াও সান্তোস ও নিউইয়র্ক কসমসসহ সব জার্সিতেই আলো ছড়িয়েছেন ‘কালো মানিক’ খ্যাত এই ফুটবলার। এমনকি ১২শর ওপর গোল করে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন এই ব্রাজিলিয়ান। যে রেকর্ড এখনো কেউ ভাঙতে পারেনি। আগামীতে কেউ তার রেকর্ডে ভাগ বসাতে সক্ষম হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে ফুটবলপ্রেমীদের মনে। ১০টি বিশ্বকাপ কভার করা ৭০ বছর বয়সি ক্রীড়া সাংবাদিক বাতিস্তা তো কাতার বিশ্বকাপ কভার করতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘এই শতকের সেরা ক্রীড়াবিদ পেলে। কারণ ও এক হাজার গোল করেছে। এছাড়া জাতীয় দলের হয়ে ৮৪ গোল করেছে। সে অতি সাধারণ একটা মানুষ। সবার সঙ্গে মিশতে পারে। সবাইকে সম্মান করে। কাউকেই এড়িয়ে যায় না।’
মাঠের বাইরেও পেলে একজন সফল মানুষ ছিলেন। তিনি খেলোয়াড়ি জীবন শেষে ব্রাজিলের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীও হয়েছিলেন। ব্রাজিলকে বিশ্বে পরিচিত করার পেছনে তার বড় অবদান রয়েছে। তাই তো পেলেকে ব্রাজিলের ভক্তরা মনের সর্বোচ্চ স্থানে জায়গা দিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়