সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল : শান্তিপূর্ণ গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৫ শতাংশ

আগের সংবাদ

জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী : নির্বাচনের আগে দেশে ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে > উদ্ভট ধারণা প্রশ্রয় দেবেন না

পরের সংবাদ

নন্দীগ্রামে গরুচোর চক্রের ২০ সদস্য শনাক্ত, গ্রেপ্তার ৪

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : নন্দীগ্রামে আন্তঃজেলা গরুচোর চক্রের একাধিক প্রধান ও চোরাই গরুর ক্রেতা, কসাইসহ ২০ জনের তথ্য পেয়েছে পুলিশ। গরু চোর চক্রের প্রধান আব্দুল মজিদকে গত বুধবার ঢাকার সাভার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চোর চক্রের প্রায় ২০ জন সদস্যের তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন নন্দীগ্রাম থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন। ওই সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে বগুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় চুরির পর অভিনব কৌশলে একাধিক কাভার্ড ভ্যানে করে চোরাই গরুগুলো নিয়ে যায়। পরে আশুলিয়ার জিরানিতে গরু জবাই করে মাংস বিক্রয় করে আসছে। নন্দীগ্রাম উপজেলায় গরু চুরির ঘটনা হঠাৎই বেড়ে যাওয়ায় গত ৬ মাস ধরে চোর চক্র শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে পুলিশের চৌকস টিম তৎপর হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংএ ওসি জানান, গত ২০২২ সালের ১৮ জুন উপজেলার তেঘর গ্রামের শিহাব আলীর বাড়ি থেকে ৪টি গরু চুরির ঘটনায় থানায় মামলা হলে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। প্রযুক্তির ব্যবহারে সক্রিয় আন্তঃজেলা চোর চক্রের সন্ধান মেলে। প্রতিনিয়ত মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে চোর চক্রের সদস্যদের অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা করে দেখা যায়, যেদিন যে এলাকায় তারা অবস্থান করে, সেই এলাকাতেই গরু চুরির ঘটনা ঘটে। চোর চক্রের কয়েকজন সদস্যকে শনাক্ত করার পর অভিযানে নামে পুলিশ। চোর সিন্ডিকেট প্রধান আব্দুল মজিদসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যে শিবগঞ্জ উপজেলার বুড়িগঞ্জ মাশইল এলাকা থেকে দুটি চোরাই গরু উদ্ধার ও গাবতলীর সন্ধ্যা-বাড়ি ফিলিং স্টেশন এলাকা থেকে চোরাই কাজে ব্যবহৃত একটি কাভার্ডভ্যানসহ একটি তালা কাটার মেশিন-রশি জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- নন্দীগ্রাম উপজেলার রণবাঘা টিটিগাড়ীর আহাদ আলী বারুর ছেলে চোর সিন্ডিকেট প্রধান আব্দুল মজিদ, চোর চক্রের সদস্য কামুল্যা গ্রামের মৃত সোহরাব হোসেনের ছেলে ফারুক হোসেন, জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার আলাদীপুর নয়াপাড়ার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে তারাজুল ইসলাম, রাজশাহীর পুঠিয়ার কাছুপাড়ার মৃত আজগর আলীর ছেলে আব্দুল আজাদ।
ওসি আনোয়ার আরও জানান, শীত বেড়ে যাওয়ায় এ উপজেলায় ফের গরু চুরির ঘটনা বেড়ে যায়। গত ১ জানুয়ারি উপজেলার শহরকুড়ি এলাকার লুৎফর রহমানের গোয়ালঘর থেকে ৩টি গরু চুরি হয়। এই ঘটনার সঙ্গে গ্রেফতারকৃতরা সরাসরি সম্পৃক্ত। তারা একই রাতে বগুড়া সদর ও শাজাহানপুর থানা এলাকা থেকেও গরু চুরি করে। দুটি চুরির মামলায় গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়