সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল : শান্তিপূর্ণ গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৫ শতাংশ

আগের সংবাদ

জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী : নির্বাচনের আগে দেশে ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে > উদ্ভট ধারণা প্রশ্রয় দেবেন না

পরের সংবাদ

ডব্লিউএইচও : চীনে কোভিডে মৃত্যুর পূর্ণাঙ্গ তথ্য আসছে না

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : চীনের দেয়া তথ্যে দেশটিতে কোভিডের সত্যিকারের প্রভাব বিশেষ করে মৃত্যুর বিষয়টি সঠিকভাবে উপস্থাপিত হচ্ছে না জানিয়ে এ বিষয়ে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় কিছুদিন আগেও বিশ্বের মধ্যে চীনেই সবচেয়ে কঠোর বিধিনিষেধ ছিল।
কিন্তু লকডাউন ও অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা এবং বারবার শনাক্তকরণ পরীক্ষায় অংশ নেয়ার ধকল আর অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে তিতিবিরক্ত চীনাদের বিক্ষোভের মুখে দেশটি গত মাসেই সব বিধিনিষেধ একে একে তুলে নেওয়া শুরু করে- যা হুট করেই চীনজুড়ে কোভিডের তীব্রতা বাড়িয়ে দেয়। তা সত্ত্বেও চীন ডিসেম্বরে কোভিডে মাত্র ২২ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে; সংজ্ঞা বদলানোর কারণেই দেশটি সংক্রমণের ব্যাপক ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা এত কম দেখাতে পেরেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ডব্লিউএইচওর জরুরি বিভাগের পরিচালক ড. মাইকেল রায়ান বলেছেন, ‘আমাদের মনে হয়, তাদের কোভিডে মৃত্যুর সংজ্ঞাটি খুবই সংকীর্ণ’।
তিনি বলেন, চীনের তথ্যে হাসপাতালে ভর্তি, নিবিড় পর্যবেক্ষণ ইউনিটে ভর্তি এবং বিশেষ করে মৃত্যুসহ কোভিডের সত্যিকারে প্রভাব সঠিকভাবে উপস্থাপিত হচ্ছে না। চীন গত মাসে তাদের কোভিডে মৃত্যুর সংজ্ঞাতে বদল এনেছে। তাদের নতুন সংজ্ঞার কারণে এখন কেবল শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতায় মৃত্যুই কোভিডে মৃত্যু বলে গণ্য হচ্ছে।

এটা ডব্লিউএইচও-র নির্দেশনার পরিপন্থি, বৈশ্বিক এ সংস্থাটি দেশগুলোকে স্বাভাবিক সময়ে প্রত্যাশিত মৃত্যুর চেয়ে কোভিডের সময়ে কত অতিরিক্ত মৃত্যু হলো, তার ভিত্তিতে করোনা ভাইরাসে মৃত্যু বের করতে উৎসাহিত করে।
ড. রায়ান জানান, সা¤প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ডব্লিউএইচওর সঙ্গে চীনের যোগাযোগ বেড়েছে এবং দেশটির কাছ থেকে আরো বিপুল তথ্য পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি।
স্বাস্থ্যকর্মীরাও চাইলে ব্যক্তিগতভাবে তথ্য ও তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারেন, বলেছেন তিনি।
‘কোভিড রোগী ও তাদের মৃত্যুর তথ্য দিতে চিকিৎসক এবং নার্সদেরও অনুৎসাহিত করি না আমরা। সমাজে রোগটির সত্যিকারের প্রভাব রেকর্ড করতে আমাদের খোলামেলা দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে,’ বলেছেন ডব্লিউএইচওর এই কর্মকর্তা।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য তথ্যবিষয়ক কোম্পানি এয়ারফিনিটির অনুমান, চীনে এখন প্রতিদিন ২০ লাখের বেশি লোক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে, মৃত্যু হচ্ছে ১৪ হাজার ৭০০ জনের।
মাসখানেক আগে চীন তার ‘শূন্য কোভিড’ নীতির গুরুত্বপূর্ণ সব বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার পর থেকে দেশটির হাসপাতাল ও শবাগারগুলোতে ভিড় বাড়ার খবর পাওয়া গেছে।
এরই মধ্যে ডজনেরও বেশি দেশ চীন থেকে আগত যাত্রীদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। বেইজিং এ ধরনের পদক্ষেপকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ অ্যাখ্যা দিয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখানোরও হুমকি দিয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়