সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল : শান্তিপূর্ণ গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৫ শতাংশ

আগের সংবাদ

জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী : নির্বাচনের আগে দেশে ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে > উদ্ভট ধারণা প্রশ্রয় দেবেন না

পরের সংবাদ

ওবায়দুল কাদের : সরকারের পরিবর্তন চাইলে নির্বাচনে আসুন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিরোধী দলগুলোকে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রংপুর সিটি করপোরেশনে শোচনীয়ভাবে আমরা হেরেছি, বুধবার গাইবান্ধা উপনির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো কথা বলতে পারেনি। আগামীর নির্বাচন সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে, সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। সরকারের পরিবর্তন যদি কেউ চান, নির্বাচনে আসুন। জনগণ চাইলে সরকারে আছি, না চাইলে চলে যাব।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সড়ক ভবনে সড়ক ও জনপথ প্রকৌশলী সমিতির ৩০তম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এতে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর, সড়ক ও জনপথ প্রকৌশলী সমিতির সভাপতি সৈয়দ মঈনুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক অমিত কুমার চক্রবর্তী ও সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. ইশহাক।
কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলনের ‘হাঁক ডাকে’ কিছুই হয়নি। ১০ ডিসেম্বর, এরপর ৩০ ডিসেম্বর যে হাঁকডাক তারা দিয়েছে, শেষ পর্যন্ত ঘোড়ায় ডিম পাড়ল। এই সব হাঁক ডাকে ঘোড়াও হাসে। তিনি বলেন, অনেকে বলেছিল, দেশ সংঘাতের দিকে যাচ্ছে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছুই হলো না। সরকার পতন হবে, শেখ হাসিনা এগুলো ভয় পায় না। একমাত্র আল্লাহ ছাড়া শেখ হাসিনা কাউকে ভয় পায় না।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার উচ্চ আদালতের রায়ে ডেড ইস্যু। এটা আর জীবিত নয়। ডেড ইস্যু নিয়ে নতুন করে হাঁক ডাক গণতন্ত্র সমর্থন করে না, দেশের জনগণ সমর্থন করে না। আওয়ামী লীগ একটা রাজনৈতিক দল, যে দলের ঘরে গণতন্ত্র চর্চা করে, দেশে গণতন্ত্র বিকশিত করে। গণতন্ত্র এই দেশে স্বৈরশাসকদের হাতে পিষ্ট হয়েছে। আজকে শেখ হাসিনা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
বিএনপিকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, বিরোধীদল শক্তিশালী হলে গণতন্ত্র আরো শক্তিশালী হবে। কিন্তু বিরোধিতার কারণে বিরোধিতা, বিরোধিতার কারণে জ্বালাও পোড়াও, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে গণতন্ত্রের ভাষা স্তব্ধ হয়ে যায়। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিরোধীদলকে আমরা স্বাগত জানাই।
সরকারি কর্মকর্তাদের অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে কাদের বলেন, প্রয়োজন ছাড়া যেসব সরকারি কর্মকর্তা বিদেশে ভ্রমণ করতে যায়, এটা সরকারকে ভাবায়। সরকারি চাকরিজীবীদের কোনো একটা কারণ দেখিয়ে বিদেশে যেতেই হবে। এই বিদেশ ভ্রমণ কেন? অনেকে চিকিৎসার কথা বলে যায়, কেউ কেউ হয়ত আসলেই চিকিৎসা করাতে যায়। সব বিষয়য়ে বাস্তবতা উপলব্ধি করতে হবে।
কাদের বলেন, আমরা রাজনীতি করি, কিছু মানুষ টাকা ছাড়া কিছুই বোঝে না। তাদের আরো টাকা দরকার, সম্পদ দরকার। কেউ কেউ কষ্টার্জিত টাকা বিদেশে পাচার করে, তাদের আমরা ঘৃণা করি। এই দেশ আরো উন্নত হবে যদি সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি, চুরি, পাচার বন্ধ করতে পারি। ভালো কাজের প্রশংসা পাবে, আবার খারাপ কাজের জন্য শাস্তি পেতে হবে।
নিরাপদ সড়ক আইনের বিধিমালার কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, অনেক দিন আগে নিরাপদ সড়ক পরিবহনের এই বিলটি সংসদে পাস হয়েছে। বিধি প্রণীত না হওয়ায় এ আইনটির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়ে যায়। আজকে নতুন বছরের প্রত্যাশিত বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় সড়ক পরিবহন আইনের বিধিমালা প্রকাশিত হয়েছে। বিধিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নও শুরু হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়