ইউনেসকোর প্রতিবেদন : দেশে শিক্ষা ব্যয়ের ৭১ ভাগ বহন করে পরিবার

আগের সংবাদ

তীব্র শীতে জবুথবু জনজীবন

পরের সংবাদ

রাষ্ট্রপক্ষের আপিলে ঝুলে গেল ফখরুল ও আব্বাসের মুক্তি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নি¤œ আদালতে জামিন আবেদন ৪ বার নাকচ হওয়ার পর হাইকোর্টে ৬ মাসের জামিন পাওয়ার পরও মুক্তি পাচ্ছেন না কারাবন্দী দুই বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাস। হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল আবেদনে তাদের মুক্তির বিষয়টি ঝুলে গেছে। রাষ্ট্রেপক্ষের আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে ৮ জানুয়ারি (রবিবার) শুনানির দিন ঠিক করেছেন চেম্বার আদালত। সেইসঙ্গে এই সময় পর্যন্ত দুজনকে জামিননামা সংশ্লিষ্ট আদালতে দাখিল না করার নির্দেশ দেয়া হয়। চেম্বার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন গতকাল বুধবার এ আদেশ দেন। ফলে আগামী রবিবারের আগে কারগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না দুই বিএনপি নেতা।
ফখরুল ও আব্বাসকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত চেয়ে গতকাল সকালে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ, যা চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। এদিন রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন। বিএনপির দুই নেতার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সগীর হোসেন। বিএনপি নেতাদের পক্ষে আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন, মো. রুহুল কুদ্দুস, কায়সার কামাল প্রমুখ শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে গত মঙ্গলবার ৬ মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে তাদের কেন স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন উচ্চ আদালত। ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। জামিন আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। তবে রাষ্ট্রপক্ষ সেদিনই জানিয়েছিল দুই বিএনপি নেতার জামিনাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।
গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হন। সংঘর্ষের পর পুলিশ বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ৩ শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান ও নয়াপল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন, মতিঝিল ও শাহজাহানপুর থানায় একটি করে এবং রমনা থানায় দুটি মামলা হয়। এরপর ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে ফখরুল ও আব্বাসকে নিজ বাসা থেকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আটকের পর তাদের নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে। পুলিশের ওপর হামলা, উসকানিদাতা, পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পরদিন আনুষ্ঠানিকভাবে জানায় ডিবি। এরপর থেকেই তারা কারাগারে। এর মধ্যে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে ৩ বার ও ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ১ বার তাদের জামিন আবেদন নাকচ হয়। সর্বশেষ হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়