বোটানিক্যাল গার্ডেনে স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় স্বামীর স্বীকারোক্তি

আগের সংবাদ

বিদেশে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা : কী করছেন কূটনীতিকরা

পরের সংবাদ

স্থিতিশীলতা রক্ষাই চ্যালেঞ্জ : ড. সায়মা হক বিদিশা, শিক্ষিকা, ঢাবি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অর্থনীতির শিক্ষক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করাই বড় চ্যালেঞ্জ। এছাড়া মূল্যস্ফিতি নিয়ন্ত্রণ আরো একটি বড় চ্যালেঞ্জ। গতকাল মঙ্গলবার ভোরের কাগজকে তিনি এসব কথা বলেন। ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, আমাদের মুক্তবাজার অর্থনীতিতে বাইরের যে কোনো বিষয় প্রভাব ফেলে। বিশ্ব অর্থনীতির উপরে আমাদের কোনো হাত নেই। তাই আমাদের চিন্তা করা উচিত, অভ্যন্তরীণ গুরুত্বের জায়গা কোথায়?
তিনি বলেন, আমার মতে, খাদ্যে কোনো ধরনের সমস্যা বা অনিশ্চয়তা যেন না ঘটে এজন্য কৃষিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। এছাড়া জ¦ালানি তেলের দামে বা বিশ্ব অর্থনীতির অস্থিরতার কারণে আমাদের আমদানি খরচ বেড়ে যেতে পারে। পাশাপাশি রপ্তানিতে এক ধরনের স্লথগতি দেখা দিতে পারে, রেমিট্যান্স কমতে পারে। এতে বৈদেশিক মুদ্রায় টান পড়তে পারে।
তিনি বলেন, আমরা যেহেতু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি বন্ধ রাখতে পারবো না, তাই সঙ্কট মোকাবিলায় আমদানিতে সরকারের নেয়া পদক্ষেপগুলো

কঠোরভাবে পরিপালন করতে হবে। ডলারের অস্থিরতা বাড়লে হয়তো আমদানিতেও আরো প্রভাব পড়তে পারে। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আরো বেড়ে যেতে পারে। বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের কিছু কিছু জায়গায় ছাড় দিতে হবে। যেমন- জ¦ালানি তেল, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য আমদানিতে শুল্কছাড়, রেগুলেটরি ডিউটিতে ছাড় ইত্যাদি। এতে আয়কর আহরণের ক্ষেত্রে কিছুটা চাপ পড়তে পারে।
তিনি আরো বলেন, সরকার ব্যয় কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে এখনো আরো কিছু জায়গায় কাট-ছাট করা যেতে পারে। পাশাপাশি আয় বাড়াতে ভ্যাট বাড়ানোর পরিকল্পনা করতে হবে। আমাদের অনেক ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা ভ্যাট দিতে সক্ষম, অথচ দিচ্ছে না। তারা বিভিন্ন উপায়ে, আন্ডার ইনভয়েসিং, ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে টাকা অপ্রদর্শিত রাখছে। এসব অপ্রদর্শিত টাকা কীভাবে মূল অর্থনীতিতে যুক্ত করা যায় সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি করতে হবে।
মূল্যস্ফিতির একটি অংশ আমদানি ব্যয় মেটানোর প্রভাব। কিন্তু আরেকটি অংশ হচ্ছে মধ্যসত্ত্বভোগীদের কারণে। তাই বাজার তদারকি আরো কীভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়ে ভাবতে হবে। বড় কোনো নতুন প্রকল্প হাতে নেয়া যাবে না। ক্ষুদ্র বা নি¤œবিত্তদের টিকিয়ে রাখতে সামাজিক সুরক্ষার আওতা বাড়াতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়