কাগজ প্রতিবেদক : নি¤œ আদালতে জামিন আবেদন ৪ বার নাকচ হওয়ার পর হাইকোর্টে ৬ মাসের জামিন পেয়েছেন কারাবন্দি বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাস। সেইসঙ্গে তাদের কেন স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন উচ্চ আদালত। ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত সোমবার করা জামিন আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল মঙ্গলবার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। পরে জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে ৬ মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তাদের কেন স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে ৪ সপ্তাহের রুল দিয়েছেন। এদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর জানিয়েছেন, এই জামিনাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।
গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হন। সংঘর্ষের পর পুলিশ বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ৩ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে। বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান ও নয়াপল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন, মতিঝিল ও শাহজাহানপুর থানায় একটি করে এবং রমনা থানায় দুটি মামলা হয়। এরপর ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে ফখরুল ও আব্বাসকে নিজ বাসা থেকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আটকের পর তাদের নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে। পুলিশের ওপর হামলা, উসকানিদাতা, পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পরদিন আনুষ্ঠানিকভাবে জানায় ডিবি। এরপর থেকে তারা কারাগারে। এর মধ্যে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে ৩ বার ও গত ২১ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ১ বার তাদের জামিন আবেদন নাকচ হয়। সর্বশেষ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জামিন চাওয়া হয়।