উকিল আবদুস সাত্তারকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি

আগের সংবাদ

মন্দা মোকাবিলায় দুই চ্যালেঞ্জ : ডলারের দাম যৌক্তিক জায়গায় রাখা > মূল্যস্ফীতি কমিয়ে ৫ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনা

পরের সংবাদ

রাউজান পৌর মেয়রের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ : আবর্জনা প্রক্রিয়াজাত করে আয়বর্ধক প্রকল্প

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এম. রমজান আলী, রাউজান (চট্টগ্রাম) থেকে : রাউজান পৌর এলাকায় প্রতিদিন সংগ্রহ করা ময়লা-আবর্জনা ও অপচনশীল বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করে দুটি পৃথক ধারায় আয়বর্ধক প্রকল্প গ্রহণ করেছেন পৌর মেয়র। দুটি প্রকল্পের মধ্যে একটি হচ্ছে ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই প্রকল্প। এর মাধ্যমে ময়লা-আবর্জনা থেকে তৈরি হবে জৈবসার, হাঁস-মুরগি ও মাছের খাবার। আর অন্যটিতে প্লাস্টিক, পলেথিনের মতো অপচনশীল বর্জ্য থেকে তৈরি করা হবে প্লাস্টিক দানা। এসব প্লাস্টিক দানায় তৈরি করা হবে নিত্য ব্যবহার্য প্লাস্টিক জিনিসপত্র।
রাউজান পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড এলাকাসহ পার্শ্ববর্তী কাঁচাবাজারের তরকারির অবশিষ্টাংশ, হোটেল, বাসাবাড়ির খাবারের উচ্ছিষ্ট, পচা ফলমূলের বর্জ্য প্রতিদিন সংগ্রহ করে ময়লার ভাগাড়ে এনে ফেলছে পৌর পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। এছাড়া রাউজান পৌরসভায় প্রতিদিন নারী-পুরুষরা কুড়িয়ে নিয়ে আসা অপচনশীল বর্জ্য প্রতি বস্তা ২০০ টাকা দাম দিয়ে কিনে নেন মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ। মেয়রকে এ কাজে সার্বক্ষণিক সহায়তা প্রদান করছেন রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। জানা যায়, প্রতিদিন সংগ্রহ করা ময়লা-আবর্জনা ও অপচনশীল বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করে দুটি পৃথক ধারায় আয়বর্ধক প্রকল্প গ্রহণ করেছেন পৌর মেয়র। দুটি প্রকল্পের মধ্যে একটি হচ্ছে ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই প্রকল্প। এর মাধ্যমে ময়লা-আবর্জনা থেকে তৈরি হবে জৈবসার, হাঁস-মুরগি ও মাছের খাবার। আর অন্যটিতে প্লাস্টিক, পলেথিনের মতো অপচনশীল বর্জ্য থেকে তৈরি করা হবে প্লাস্টিক দানা। এসব প্লাস্টিক দানায় তৈরি করা হবে নিত্যব্যবহার্য প্লাস্টিক জিনিসপত্র। ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই থেকে প্যারোট পোকা উৎপন্ন করতে দরকার মশারির নেট, কয়েকটি পাতিল ও কয়েকটি কাঠের টুকরো। একজন খামারি বড় পরিসরে এই পোকা চাষ করলে প্রতিদিন ১০০ থেকে ৫০০ কেজি পর্যন্ত পোকা উৎপন্ন করে লাভবান হতে পারবেন। ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই থেকে প্যারোট পোকা উৎপাদন করার পর বর্জ্যরে যে অংশ অবশিষ্ট থাকে তা দিয়ে তৈরি হচ্ছে উৎকৃষ্টমানের জৈবসার। এ সার শাক-সবজি ও ফসলের মাঠে ব্যবহার করতে পারবে। ময়লা-আবর্জনা, তরকারির অবশিষ্টাংশ, খাবারের উচ্ছিষ্ট, পচা ফলমূলের মতো ময়লার ভাগাড় ‘ব্লাক সোলজার ফ্লাই’য়ের উপযুক্ত আবাস। দেশে এ ধরনের পরিবেশ খুবই সহজলভ্য বিধায় ‘ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই’ পোল্ট্রি শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। পৌরসভার ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ গ্রহণ প্রসঙ্গে কথা বললে পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ বলেন, এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপির পরামর্শ ও অনুপ্রেরণা এসব প্রকল্প বাস্তাবায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি জানান নগদ টাকা দিয়ে গরিব মানুষের কাছ থেকে পচনশীল ও অপচনশীল সব ধরনের বর্জ্য প্রতিদিন কিনছেন। সংগ্রহ করা প্লাস্টিক, পলিথিনের মতো অপচনশীল বর্জ্য রিসাইক্লিন করে দানাদার প্লাস্টিক তৈরি ও তা দিয়ে নিত্যব্যবহার্য পণ্য তৈরি করা হবে। এতে পৌরসভা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। এসব প্রকল্প পরিকল্পনার মধ্যে কর্মসংস্থান হয়েছে শত শত মানুষের।
সবচেয়ে বড় কথা এসব উদ্যোগের ফলে পৌর এলাকাসহ গোটা রাউজান থাকবে পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়