উকিল আবদুস সাত্তারকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি

আগের সংবাদ

মন্দা মোকাবিলায় দুই চ্যালেঞ্জ : ডলারের দাম যৌক্তিক জায়গায় রাখা > মূল্যস্ফীতি কমিয়ে ৫ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনা

পরের সংবাদ

মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত পলাতক ২ আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জামালপুর প্রতিনিধি : মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। তারা হলেন- মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. মোস্তফা ও যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. ইসমাঈল হোসেন ইসরাফিল।
গতকাল সোমবার দুপুরে র‌্যাব-১৪ এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্ক্রোয়াডন লিডার আশিক উজ্জামান জানান, ২০১১ সালের ২০ মে বিকালে বকশিগঞ্জের নিজ বাড়িতে স্ত্রী রুজিনার সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পারিবারিক কলহের এক পর্যায়ে মোস্তফা রুজিনার উপর নির্মম অমানুষিক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে মোস্তফা তার পাঁচ মাস বয়সি শিশু সন্তান মো. আসিফকে দুই পা ধরে ঘরে থাকা ঢেকির সঙ্গে সজোরে পরপর তিনবার আছাড় দিয়ে জখম করে। ফলে আসিফ মৃত্যুযন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে এবং মৃত্যুবরণ করে। মোস্তফা ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আশপাশের লোকজন তাকে আটক করে এবং বকশিগঞ্জ থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ এসে পাষন্ড পিতা মো. মোস্তফা (২৮) কে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। পরবর্তীতে আদালত থেকে জামিন প্রাপ্ত হয়ে আত্মগোপনে চলে যায় মোস্তফা। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন নাম যথা কুদ্দুস, রজব আলী এবং ইয়াসিন আলী সজিব ইত্যাদি পরিচয়ে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অটোচালক হিসেবে বসবাস করে আসছিল। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালত গত বছরের ২ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ড রায় ঘোষণা করেন। তিনি ঢাকার খিলগাও-এ অবস্থান করছিলেন। মোস্তফার অবস্থান নিশ্চিত করে রবিবার দুপুরে খিলগাও-এর হাজির মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্ক্রোয়াডন লিডার আশিক উজ্জামান আরো জানান, ১৯৯৮ সালের ৭ জুলাই শেরপুর সদর উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের ১১ বয়সি কন্যাশিশুকে বাড়িতে রেখে জীবিকার তাগিদে ভিক্ষা করার উদ্দেশ্যে পার্শ্ববর্তী গ্রামে চলে যায় তার মা। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে একই গ্রামের মৃত সেকান্দর আলীর পুত্র ইসমাইল হোসেন ইসরাফিলসহ দুই জন ১১ বছরের কন্যা শিশুকে অপহরণ করে টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি জানাজানির পর ভিক্ষুক মা মধুপুর থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। মামলার পর থেকেই আসামি মো. ইসমাইল হোসেন ইসরাফিল আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ২ জুলাই টাঙ্গাইল জেলা ও দায়রা জজ আসামি মো. ইসমাইল হোসেন ইসরাফিলকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দন্ডিত করে। দীর্ঘ ২৪ বছর আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় সে দেশের বিভিন্ন স্থানের বিভিন্ন পরিচয়ে শ্রমিক এবং দিনমজুর পেশায় বসবাস করে আসছিল। পরবর্তীতে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে আসামির অবস্থান নিশ্চিত করে জামালপুর ক্যাম্পের একটি দল মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার কুসুমপুর মোড় হতে ইসরাফিলকে আটক করে। ইসরাফিলকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মোস্তফাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানায় র‌্যাব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়