উকিল আবদুস সাত্তারকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি

আগের সংবাদ

মন্দা মোকাবিলায় দুই চ্যালেঞ্জ : ডলারের দাম যৌক্তিক জায়গায় রাখা > মূল্যস্ফীতি কমিয়ে ৫ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনা

পরের সংবাদ

বাংলাদেশ-ভারত যৌথ পানি পর্যবেক্ষণ শুরু

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : বাংলাদেশ-ভারত পানি চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশের পদ্মা ও গঙ্গায় যৌথভাবে পানি পর্যবেক্ষণ শুরু হয়েছে। গত রবিবার সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা পাউবোর হাইড্রোলজি বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম।
রবিবার সকাল থেকে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্ট ও ভারতের গঙ্গার ফারাক্কা পয়েন্টে দুই দেশের প্রতিনিধিদল এই পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে বলে জানান তিনি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) হাইড্রোলজি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ পানি চুক্তির পর প্রতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত এ পর্যবেক্ষণ চলে। এ বছরও সে অনুযায়ী পর্যবেক্ষণ শুরু হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী যৌথ নদী কমিশনের কর্মকর্তারা ভারতের ফারাক্কা পয়েন্টে গঙ্গার পানি পর্যবেক্ষণ করছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশের হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে একইভাবে পর্যবেক্ষণ চলছে।
ভারতের পর্যবেক্ষক দলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ভারতের কেন্দ্রীয় পানি কমিশনের (সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন) নির্বাহী প্রকৌশলী বসন্ত কুমার ও প্রকৌশলী দীপক কুমার। প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজের আড়াই হাজার ফুট উজানে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পয়েন্টে এ পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী জানা গেছে, প্রথম ১০ দিন ফারাক্কায় ৭০ হাজার কিউসেক বা তার কম পানির প্রবাহ থাকলে বাংলাদেশ ও ভারত উভয়েই ৫০ শতাংশ করে পানি পাবে। দ্বিতীয় ১০ দিন, ফারাক্কা পয়েন্টে ৭০ হাজার কিউসেক পানিপ্রবাহ থাকলে বাংলাদেশ ৩৫ হাজার কিউসেক পানি পাবে। তৃতীয় ১০ দিন ফারাক্কা পয়েন্টে ৭৫ হাজার কিউসেক বা তার বেশি পানিপ্রবাহ থাকলে ভারত পাবে ৪০ হাজার কিউসেক পানি, বাকিটা পাবে বাংলাদেশ। তবে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ১১ মার্চ থেকে ১০ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ-ভারত উভয় দেশ ৩ দফা ১০ দিনের হিসাবের ক্রমানুসারে ৩৫ হাজার কিউসেক করে পানি পাবে।
জেলা পাউবোর হাইড্রোলজি বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন, চলতি বছর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ গত বছরের তুলনায় কিছুটা কম।

গত বছর এই সময়ে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ ছিল ১ দশমিক ১০ লাখ কিউসেক। এ বছর রয়েছে ১ দশমিক ৬ লাখ কিউসেক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়