বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুব হোসেন আর নেই

আগের সংবাদ

দেশজুড়ে জেঁকে বসেছে শীত : উত্তররাঞ্চলের কয়েক জেলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ > জনজীবন বিপর্যস্ত > বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগবালাই

পরের সংবাদ

ফুটবল সম্রাটের শেষকৃত্য সান্তোসের মাঠে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ফুটবলের রাজা খ্যাত পেলে ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই শেষে ২৯ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। আজ সকাল ১০টা থেকে তার দেহ রাখা থাকবে সান্তোসের ভিলা বেলমিরো স্টেডিয়ামে। আগামীকাল সকাল ১০টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা যাবৎ তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন ভক্তরা। এরপর পেলের কফিন নিয়ে শোভাযাত্রা শেষে সান্তোসের মেমোরিয়াল নেক্রোপোল একুমেনিকাতে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
দুই মৌসুম যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব নিউইয়র্ক কসমসে খেলা ছাড়া পেলে স্বদেশী ক্লাব সান্তোস এফসির হয়েই খেলেছেন। সান্তোসের ভিলা বেলমিরো স্টেডিয়ামেই খেলেছেন তার ফুটবল জীবনের সেরা কিছু ম্যাচ। স্মরণীয় অনেক গোলও রয়েছে এ স্টেডিয়ামে। স্মৃতিবিজড়িত এ মাঠের মাঝখানে আজ ভোর থেকে রাখা আছে তার মৃতদেহ। আগামী ২৪ ঘণ্টা শ্রদ্ধা জানানোর সঙ্গে সঙ্গে এ মাঠে পেলের কাটানো অসাধারণ ফুটবল জীবনের স্মৃতিচারণও করতে পারবেন ভক্তরা। পরবর্তীতে সান্তোসের বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে পেলের পৈতৃক নিবাসের সামনে হয়ে তার দেহ নিয়ে শোভাযাত্রা করা হবে যা শেষ হবে নক্রোপোল একুমেনিকাতে। সেখানেই সমাধিস্ত করা হবে ফুটবলের রাজা পেলেকে।
পেলের শেষকৃত্যে শুধু পরিবারের সদস্যরাই উপস্থিত থাকতে পারবেন। তবে থাকতে পারবেন না তার সয্যাশায়ী শতায়ু মা। তার মৃত্যুর তিন দিনেও পেলের মা জানেন না তার ছেলে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন। এ ব্যাপারে পেলের বোন মারিয়া গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা কথা বলেছিলাম কিন্তু তিনি মৃত্যুর ব্যাপারে কিছু জানেন না। তার একটি নিজস্ব জগত আছে, সেখানে তিনি ভালোই আছেন।
এদিকে ১০ নম্বর জার্সি কোনো খেলোয়াড়কে দেয়া হবে না এমন ইঙ্গিত দিয়েছে সান্তোস কর্তৃপক্ষ। স্ট্রাইকারদের জন্য সম্মানজনক এ জার্সি পরেই ব্রাজিল ও সান্তোস এফসির হয়ে খেলেছেন পেলে। তার প্রতি সম¥ান জানিয়ে এ জার্সিটি তোলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। ক্লাব কর্তৃপক্ষের এমন মনোভাবে নাখোশ ব্রাজিলের আরেক কিংবদন্তি মিডফিল্ডার জিকো। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সব সময়ই আমি এই ধরনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। কারণ আমি মনে করি, ১০ নম্বর জার্সি একজন স্ট্রাইকারের কাছে গর্বের প্রতীক। এই জার্সি পরতে পারা একজন স্ট্রাইকারের কাছে গৌরবের। সেটা প্রমাণ করে দলে তার গুরুত্ব। তাই আমি সব সময় এই ধরনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করি।’
তিনটি বিশ্বকাপ জয়ী একমাত্র ফুটবলার পেলের জন্ম ১৯৪০ সালের ২৩ অক্টোবর। মা ভক্ত পেলের ফুটবলে হাতেখড়ি বাবার কাছে। ছোটবেলা থেকে ফুটবলপ্রেমি পেলে আজকের দিনের ফুটবল সম্রাট। তিনি ১৯৫৮ সালে প্রথমবারের মতো ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপ জয় করেন। পরপর চারটি বিশ্বকাপ খেলে সফলতা পান তিনটিতে। ফিফা তাকে যুগ্মভাবে শতাব্দীসেরা ঘোষণা করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়