রাজধানীর বাজারদর : সবজিতে স্বস্তি মাছ-ডিমের দাম অপরিবর্তিত

আগের সংবাদ

বই সংকটে উৎসবে ছন্দপতন : শিক্ষার্থীদের হাতে দেয়া হয় একটি-দুটি অথবা গতবছরের বই > ফেব্রুয়ারির আগে সব শিক্ষার্থী বই পাবে না

পরের সংবাদ

রোহিঙ্গাদের সমাবেশে দেশে ফেরার আকুতি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জসিম আজাদ, উখিয়া (কক্সবাজার) থেকে : কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে বসবাসরত রোহিঙ্গারা নতুন বছরে নিজ দেশে ফেরার আকুতি জানিয়ে সমাবেশ করেছেন। গতকাল শনিবার দুপুরে ‘গো হোম ক্যাম্পেইন-২০২৩’ স্লোগানে উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তারা সমাবেশ করেন।
দীর্ঘ সময়েও প্রত্যাবাসন না হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করে রোহিঙ্গা নেতারা সমাবেশে বলেন, বাংলাদেশের বোঝা হয়ে আর থাকতে চাই না। বিশ্বে সব জাতি-শ্রেণির মানুষ নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ উদযাপন করবে। কিন্তু আমাদের সেই সুযোগ নেই। আমরা তখনই আনন্দ উদযাপন করব যখন নিজ দেশে ফিরতে পারব। এটাই আমাদের প্রাণের দাবি।
সমাবেশে যোগ দিতে সকাল থেকে কুতুপালং, বালুখালী ও লম্বাশিয়াসহ আশপাশের ক্যাম্প থেকে খেলার মাঠে জড়ো হতে শুরু করেন রোহিঙ্গারা। সমাবেশে পুরুষের পাশাপাশি রোহিঙ্গা নারী-শিশুরাও যোগ দেন। এ সময় ‘এনাফ ইজ এনাফ, লেটস গো হোম, ২০২৩ শুড বি রোহিঙ্গা হোম ইয়ার’ লেখা পোস্টার-প্ল্যাকার্ড হাতে দেশে ফেরার দাবি তোলেন রোহিঙ্গারা। সমাবেশে হাজারো রোহিঙ্গা অংশ নেন। রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায় ও প্রত্যাবাসনের দাবিতে সোচ্চার রোহিঙ্গা নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেন।
সমাবেশে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস এন্ড হিউম্যান রাইটসের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ জোবায়ের বলেন, নতুন বছর এলে পুরো দুনিয়ার মানুষ নিজ নিজ দেশে আনন্দ উদযাপন করে। কিন্তু শরণার্থী জীবনে রোহিঙ্গাদের নতুন বছর বরণের সুযোগ নেই। সামনের দিনগুলোতে আমরা আমাদের জন্মভূমি মিয়ানমারে নতুন বছর উদযাপন করতে চাই। বিশ্ব স¤প্রদায়ের কাছে আমাদের অনুরোধ, রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরানোর ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নিন। গত ৫ বছর ধরে শুধু চোখের পানি ফেলছি, তোমরা এসে আমাদের চোখের পানি দেখে যাও।
রোহিঙ্গা নেতা মাস্টার মো. মুসা বলেন, নতুন বছর আসে, আবার চলে যায়। কিন্তু রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরার কোনো বার্তা আসে না। ২০২৩ সালে আমরা দেশে ফিরতে চাই। এটাই আমাদের প্রাণের দাবি। আমরা আশা করছি, বিশ্ব স¤প্রদায় আমাদের নিজ দেশে ফেরার সুযোগ করে দেবে।
এদিকে রোহিঙ্গাদের ‘গো হোম ক্যাম্পেইন’ শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে বলে জানান ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক সৈয়দ হারুন উর রশিদ। তিনি বলেন, নতুন বছরে নতুন প্রত্যাশা নিয়ে মিয়ানমারে ফেরার দাবি জানিয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেছেন রোহিঙ্গারা।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা শুরু হলে পরের কয়েক মাসে অন্তত ৮ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর আগে আরো কয়েক লাখ রোহিঙ্গা এসেছিল। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফে সাড়ে ১১ লাখেরও বেশি
রোহিঙ্গা রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়