ক্রোয়াট দাপটে ‘হেক্সা’র স্বপ্নভঙ্গ : টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে ব্রাজিলকে বিদায় করে সেমিতে ক্রোয়েশিয়া

আগের সংবাদ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা : জলবায়ু অভিযোজনে আমাদের প্রয়োজন ২৩০ বিলিয়ন ডলার

পরের সংবাদ

প্রিয় পোশাকে বিজয়

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দিবসভিত্তিক পোশাকের ব্যাপারটা আমাদের সংস্কৃতিতে আনেন এ দেশের ফ্যাশন ডিজাইনাররা। বোদ্ধারাও মনে করেন, দিবসভিত্তিক পোশাকের ধারাটা চালু থাকা জরুরি। এতে ফ্যাশনের সঙ্গে মানুষের সরাসরি সংযোগ ঘটার পাশাপাশি লাল-সবুজ বসন অঙ্গে জড়ানো হবে। এ কারণেই বিজয় দিবসের ভাবনা পোশাকে ফুটিয়ে তুলেছে ডিজাইনার ও ফ্যাশন হাউসগুলো।

আশরাফুল ইসলাম রানা

অহংকারের মাস ডিসেম্বর। বাঙালির লাল-সবুজের সঙ্গে সখ্য তাই রক্তে মিশে আছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আর চেতনাকে বুকে ধারণ করে এই বিজয় উৎসবকেও বসনেও রাঙিয়ে তুলতে চায় দেশপ্রেমী প্রতিটি বাঙালি। আলপনা, ক্যালিগ্রাফি, টাই ডাইয়ে ছাপচিত্র, মুক্তিযুদ্ধ, মানচিত্র, পতাকার রঙ ও জামদানি মোটিফের ব্যবহার প্রাধান্য পেয়েছে পোশাকে।
বিজয়ের উদযাপন এখন কেবল গল্প, গান, কবিতায় নয়, বরং পোশাকেও তা দৃশ্যমান। বাংলাদেশের পতাকার রং লাল-সবুজ যেন প্রতিটি বাঙালির প্রাণের রং হয়ে উঠেছে। সেই পতাকা মোটিভ এসেছে আমাদের পোশাকেও। লাল-সবুজের পতাকা আমাদের আপন রঙের ছটা, যা আমরা বহন করি পোশাক, অনুষঙ্গ থেকে শুরু করে আমাদের হৃদয়ে। এমন পোশাকে বিজয়ের প্রতীকও বলা চলে। দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো বড়দের পাশাপাশি ছোটদের জন্যও তৈরি করেছে লাল-সবুজের পোশাক।
রঙ বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী সৌমিক দাস বলেন, ‘দেশীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে আমরা প্রোডাক্ট লাইন তৈরি করি। এবার বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে আমাদের আলাদা আয়োজন আছে। এবার আলপনা থিম ব্যবহার হয়েছে। থাকছে সাদা, লাল-সবুজের আধিপত্য। আমার বাংলাদেশ নামে আমাদের যে কো-ব্র্যান্ড রয়েছে, তার অধীনেই আমরা বিজয়ের পোশাকগুলো এনেছি।’
বিজয়ের এ মাসে ফ্যাশন হাউসগুলো একটু ভিন্ন রূপের আয়োজন করে থাকে। বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস বিভিন্ন ক্যাটাগরির পোশাক দিয়ে তাদের হাউসগুলো সজ্জিত করে। ক্রেতারাও ভিড় করছে এ ফ্যাশন হাউসগুলোতে। ফ্যাশন হাউসগুলো বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশীয় কাপড় দিয়ে তৈরি করেছে শাড়ি, থ্রি-পিচ, টি-শার্ট, পাঞ্জাবি ও শিশুদের পোশাক।
কাপড় হিসেবে সুতি প্রাধান্য পেয়েছে। তবে পাশাপাশি তাঁত, মোটা কটন, এন্ডি- এসব কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া ও পাঞ্জাবিসহ বিভিন্ন পোশাকে। শীতকালকে প্রাধান্য দিয়ে এসেছে নানা ধরনের শাল। এসব শালেও সবুজ ও লাল রং প্রাধান্য পেয়েছে। পাশাপাশি থাকছে চেতনাভিত্তিক নানা মোটিভ। অর্থাৎ ফ্যাশন ডিজাইনাররা সব পোশাকের মাধ্যমে আমাদের অহংকার, আমাদের বিজয় দিবসের চেতনাকে প্রকাশের চেষ্টা করেছেন।
পোশাকে ব্যবহার করা হয়েছে নিজস্ব উইভিংয়ে করা ডিজাইন, টাই অ্যান্ড ডাই, স্ক্রিন প্রিন্ট, ব্লক প্রিন্ট, অ্যাপলিক, অ্যামব্রয়ডারিসহ বিভিন্ন মাধ্যম। কারোর নকশায় প্রাধান্য পেয়েছে জাতীয় পতাকার রঙ, কোনোটায় রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের মোটিফ, লেখা, কবিতার লাইনও । অর্থাৎ বিজয় উৎসবের বিভিন্ন প্রতীক ব্যবহার করে ডিজাইন করা হয়েছে বিজয় দিবসের পোশাকগুলো। মূলত: ডিজাইনের একটা বড় অংশজুড়ে থাকে দেশাত্মবোধের চেতনা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়