জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি : ডা. এস এ মালেকের মৃত্যু অপূরণীয় ক্ষতি

আগের সংবাদ

পল্টন ছেড়ে গোলাপবাগে বিএনপি : বিকাল থেকেই সমাবেশস্থলে নেতাকর্মীদের অবস্থান, রাজধানীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা

পরের সংবাদ

সেপটিক ট্যাংকে মিলল নিখোঁজ মাও ছেলের লাশ : স্বামীসহ আটক ৩

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শেরপুর প্রতিনিধি : নিখোঁজের ৫ দিন পর বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মা ও ছেলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের শিংপাড়া মহল্লা থেকে ওই লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন- রোকসানা বেগম (২৮) ও তার ছেলে জুনায়েদ হাসান রাফিদ (১১)। এ ঘটনায় স্বামী মাশেকসহ (৩৮) ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ আবুবকর সিদ্দিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জানা যায়, গত ২০০৮ সালে শেরপুর সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের মধ্যবয়ড়া গ্রামের জনৈক জালাল উদ্দিনের ছেলে অটোরিক্সা চালক মাশেকের সঙ্গে বিয়ে হয় শেরপুর শহরের খরমপুর টিক্কা পাড়া মহল্লার সুরুজ মিয়ার মেয়ে রোকসানা বেগমের। বিয়ের পর তাদের সংসারে ২ সন্তান জন্ম নেয়। এদিকে বিয়ের পর থেকেই মাশেক মাদক সেবনে জড়িয়ে পড়ে। স্ত্রী রোকসানা বেগম স্থানীয় মাধবপুরস্থ ফ্যামিলি নার্সিং হোমে কাজ করে সংসারে সহযোগিতা করে আসছিলেন। তারপরও স্বামী প্রায় সময় রোকসানা বেগমকে মারধর করতো। এ নিয়ে স্ত্রী রোকসানা বেগম মাশেকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দায়ের করলেও পরবর্তীতে উভয় পরিবার মিমাংসা করে দেয়ায় মামলা প্রত্যাহার করে নেন তিনি।
এদিকে শনিবার রাত থেকে নিখোঁজ হন রোকসানা ও তার চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে রাফি। ওই ঘটনায় রোকসানার বড় বোন সুফিয়া বেগম বাদী হয়ে বুধবার রাতে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তদন্তের এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার দুইটার দিকে শিংপাড়া মহল্লার ভাড়া বাসার সেপটিক ট্যাংকি থেকে হাতপা বাঁধা অবস্থায় মা-ছেলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে রোকসানার স্বামী মাশেকসহ তার মা ও বোনকে আটক করা হয়।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জের ধরেই মা-ছেলেকে হত্যা করে লাশ গুমের উদ্দেশে সেপটিক ট্যাংকিতে ফেলে দেয়া হয়েছিল। এ ঘটনায় স্বামী মাশেককে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি তার মা ও বোনকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়