ট্রাকের ধাক্কা : নটর ডেম শিক্ষার্থী নিহতের মামলার চার্জশিট গ্রহণ

আগের সংবাদ

নেতাকর্মীদের প্রতি শেখ হাসিনার নির্দেশ : যে হাত মারতে আসবে সে হাত ভেঙে দিতে হবে > আঘাত এলে পাল্টা আঘাত

পরের সংবাদ

হ্যাটট্রিক ম্যান রামোস

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : লুসাইল স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ৬-১ গোলের বিশাল জয় পেয়েছে পর্তুগাল। এ ম্যাচে পর্তুগালের হয়ে হ্যাটট্রিক করেন ২১ বছর বয়সি গঞ্জালো রামোস। বিশ্বকাপের এবারের আসরে এটি ছিল প্রথম হ্যাটট্রিক।
১৯৯০ সালে কোস্টারিকার বিপক্ষে নকআউট পর্বে চেক প্রজাতন্ত্রের টমাস স্কুহরাভির হ্যাটট্রিক করেছিলেন। ৩২ বছর পর এই পর্বে ফের কেউ হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছে। আর সেই হ্যাটট্রিক ম্যান গঞ্জালো রামোস। বেনফিকার একাডেমিতে ফুটবলার হয়ে উঠেছেন রামোস। তাকে পর্তুগালের ভবিষ্যৎ তারকা বলা হচ্ছিল। এবারের মৌসুমে বেনফিকার হয়ে পর্তুগিজ লিগে ১১ গোল করেছিলেন। ২০১৯ সালে পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ইউরোপিয়ান যুব চ্যাম্পিয়নশিপে দারুণ খেলেছিলেন তিনি। হয়েছিলেন সর্বোচ্চ গোলদাতা। ২০১৩ সালে মাত্র ১২ বছর বয়সে বেনফিকার একাডেমিতে নাম লিখিয়েছিলেন রামোস। শুরু থেকেই একাডেমিতে তিনি ভালো ফিনিশার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন। গোলে শট নেয়ার ক্ষমতা, তা থেকে গোল বের করে আনার সামর্থ্য তাকে খুব দ্রুতই সম্ভাবনাময় ফুটবলার হিসেবে পরিচিতি দিয়েছে। এবারের পর্তুগাল দলে ব্রুনো ফার্নান্দেজ, বের্নার্দো সিলভা, ওতাভিওদের মতো প্লে-মেকার থাকায় রামোসের শুটিং সামর্থ্য কোচ সান্তোসের জন্য দারুণ এক সম্পদ।
পেলের পর সবচেয়ে কম বয়সে বিশ্বকাপের নকআউট ম্যাচে হ্যাটট্রিক করার গৌরব একুশ বছর বয়সি রামোসের। তবে পরিসংখ্যান বলছে, রামোসের হ্যাটট্রিক করার অভ্যাস পুরনো। ২০২১ সালে পর্তুগালের হয়ে অনূর্ধ্ব-২১ ইউরো কোয়ালিফায়ারে সাইপ্রাসের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন। এছাড়া চলতি বছর বেনফিকার হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ড্যানিশ ক্লাব মিজুল্যান্ডের বিপক্ষেও হ্যাটট্রিক করেন রামোস। সিনিয়র পর্যায়ে এখন পর্যন্ত হাফডজন গোল করেছেন। বিশ্বকাপের আগে গত নভেম্বরে প্রীতি ম্যাচ নাইজেরিয়াকে ৪-১ হারিয়েছিল পর্তুগাল। ওই ম্যাচেও গোল করেছেন রামোস।
পাঁচবারের ব্যালন ডি অর জয়ী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে বসিয়ে রাখা একটা ঝুঁকি। তার চেয়ে বড় ঝুঁকি সে জায়গায় তরুণ একজনকে খেলানো। পর্তুগিজ কোচ সেই ঝুঁকিটা নেন। আর ২১ বছর বয়সি গঞ্জালো রামোস সেই আস্থার প্রতিদান দেন বেশ ভালোভাবেই। বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চের আসরে তার অভিষেক হয়েছে। আর সেটাই স্মরণীয় করে রাখেন হ্যাটট্রিকে। কাতারে আগেও দুই ম্যাচ খেলেছিলেন। কিন্তু পাননি গোলের দেখা। তবে লুসাইলে এসে যেন ষোলো কলা পূর্ণ করেন তিনি। অথচ দিয়েগো জোতা চোট না পেলে বিশ্বকাপ স্কোয়াডেই সুযোগ হতো না এই স্ট্রাইকারের। গ্রুপ পর্বে পর্তুগালের তিন ম্যাচেই প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। কোচ ফার্নান্দো সান্তোস তাকে গোটা ম্যাচ খেলাননি। রোনালদোকে একাদশের বাইরে রেখে তার পজিশনে খেলিয়েছিলেন রামোসকে। আর তাতেই বাজিমাত করেন পর্তুগালের হয়ে মাত্র চতুর্থ ম্যাচে মাঠে নামা এই খেলোয়াড়।
রোনালদোহীন পর্তুগাল কী করে সেটাই দেখার অপেক্ষায় ছিলেন সবাই। সেটা দেখতে ১৭ মিনিটের বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি ভক্তদের। বল পেয়ে গোলার মতো একটি শটে পর্তুগালকে ১-০ এগিয়ে দেন রামোস। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোল দ্বিগুণ করেন রামোস। ৫১ মিনিটে গোল করে দলের ব্যবধান বাড়ান। সঙ্গে নিজের ঝুলিটাও ভারি করেন। ৬৭ মিনিটে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে রামোস। ২১ বছর ৫ মাস ১৬ দিন বয়সে দেশের জার্সিতে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পরিবর্তে খেলতে নেমেই এমন বাজিমাত। যা এবারের বিশ্বকাপেও প্রথম হ্যাটট্রিক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়