দৈনিক বাংলার মোড় থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

আগের সংবাদ

কক্সবাজারের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী : আগামীতেও নৌকায় ভোট চাই

পরের সংবাদ

খাল খননের অভাবে নামছে না বর্ষার পানি : কয়েক হাজার বিঘা জমি একযুগ ধরে অনাবাদি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : একটি খাল খননের অভাবে বিলের জমি এখন কৃষকের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ষায় জমে থাকা পানি নামছে না কোনোভাবেই। বোরো ধানের বীজতলা তৈরি করতে পারছেন না কৃষকরা। প্রায় একযুগ ধরে অনাবাদি রয়েছে কয়েক হাজার বিঘা জমি। এসবের একমাত্র কারণ নরকা খাল।
জানা গেছে, উপজেলা থেকে বয়ে আসা আশপাশের বিলের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র মাধ্যম নরকা খাল। খননের অভাবে খালটি এখন কৃষকের দুঃখে রূপ নিয়েছে। টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়ন দিয়ে বয়ে যাওয়া খালটি দীর্ঘদিন ধরে খননের দাবি করছেন কৃষকরা।
জানা যায়, নরকা খালের উৎপত্তি ঝিনাই নদী থেকে। হামিদপুর ফটিকজানী ঝিনাই নদী থেকে বাগুন্তা হয়ে নারাঙ্গাইল জোয়াল ডাঙ্গা বিল, মেগাবিল, গুয়াপচাবিল হয়ে সাটুরিয়া দেওপাড়া, তালতলা, সরাসাক বাদে আমজানী হয়ে গোলাবাড়ী এলাকায় গিয়ে মিলেছে বংশাই নদীতে। যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৮ কিলোমিটার। এলাকাবাসী জানান, বর্ষা মৌসুমে দেওপাড়া, ধলাপাড়া ও দিগর- এই ৩ ইউনিয়নের প্রায় ৪০ গ্রামের বৃষ্টির পানি জমা হয় এসব বিলে। আর বিলের পানি নিষ্কাশন হয় নরকা খাল দিয়ে। নরকা খালটি একসময় ছিল ছোটখাটো একটি নদীর মতো। প্রশস্ত ছিল প্রায় ৪০ থেকে ৫০ ফুট। বড় বড় নৌকা চলত এই খাল দিয়ে। বর্তমানে ডিঙ্গি নৌকা চলতে পারে না। প্রায় ৩০ বছর আগে একবার খালটি খনন করা হয়। এরপর পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে। দুই পাড়ের জমির মালিকরাও খালটি চেপে ধরেছে। কোনো কোনো স্থানে বন্ধ হওয়ার উপক্রম। কোথাও ৫ ফুট দৃশ্যমান। আবার কোথাও ৬-৭ ফুট।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, বোরো ধানের বীজতলা তৈরির সময় প্রায় শেষ দিকে হলেও বীজ তৈরির জমিতে এখনো হাঁটু পানি। বীজ সংকটের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমন চাষ। বাধাগ্রস্ত হবে বোরো চাষও। দীর্ঘদিন ধরে খালটি খননের দাবি জানিয়ে আসছেন কৃষকরা। বেশ কিছুদিন আগে এলাকার ৩০০ কৃষকের স্বাক্ষরিত একটি আবেদন নির্বাহী অফিসার বরাবর দেয়া হয়েছে।
দেওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বলেন, বিষয়টি মাসিক সমন্বয় সভায় একাধিকবার উপস্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। তারপরেও বোরো চাষ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় আমি গত সোমবার খাল খননের অনুমতি ও বরাদ্দ চেয়ে স্থানীয় এমপি বরাবর আবেদন করেছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলশাদ জাহান বলেন, খালটি খননের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনিয়া চৌধুরী বলেন, বিষয়টি জেনেছি। ইতোমধ্যে খাল খননের বিষয়ে চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়