ঢাকা কলেজে কমিটির দাবি : ছাত্রলীগ সভাপতির গাড়ি আটকে দিল বিক্ষুব্ধ নেতারা

আগের সংবাদ

প্রতিটি ব্যাংকেই টাকা আছে > ছাত্রলীগের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী : বিএনপি-জামায়াত যেন ক্ষমতায় না আসতে পারে

পরের সংবাদ

৩৭ কৃষকের বিরুদ্ধে ঋণখেলাপি মামলার তদন্ত শুরু

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : ঈশ্বরদীতে ৩৭ কৃষকের নামে ঋণখেলাপির মামলায় গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তদন্ত কমিটির তিন সদস্য উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নে কৃষকদের বাড়িতে যান। তদন্তদল কথা বলেন কৃষক আব্দুস সামাদ, মজনু প্রামাণিক ও আতিয়ার রহমানের সঙ্গে। লভ্যাংশসহ কিস্তি নিয়ে কোন নোটিসবিহীন গ্রেপ্তারের ঘটনায় তদন্ত কমিটির কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কৃষকরা। তবে তদন্ত কমিটির সদস্যরা কিছু বলতে রাজি হননি।
কৃষক আব্দুল হান্নান বলেন, ৪০ হাজার টাকা ঋণ উত্তোলন করে লভ্যাংশসহ পরিশোধ করেছি। তারপরও কারাগারে যেতে হয়েছে। এজন্য ব্যাংক কর্মকর্তারা দায়ী। আমরা যদি ঋণ পরিশোধ না করে থাকি তবে কেন আমাদের বিরুদ্ধে উকিল নোটিস পাঠানো হলো না?
কারাভোগের শিকার কৃষক আব্দুস সামাদ বলেন, সব টাকা পরিশোধ করেছি। তারপরও কেন আমাকে তিন দিন কারাগারে থাকতে হলো? এর দায়ভার ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে। হয়রানির জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।
ভাড়ইমারী উত্তরপাড়া সবজি চাষি সমবায় সমিতির সভাপতি বিলকিস নাহার জানান, ব্যাংকের মাঠকর্মীরা এখানে এসে কৃষকের কাছ থেকে কিস্তি নিয়েছেন। এ কিস্তির টাকা মাঠকর্মীরা ব্যাংকে জমা দিয়েছেন কিনা আমি জানি না। এ ব্যাংক আমার বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির একটি মামলা করেছে ইতোপূর্বে। সেই মামলায় নিয়মিত হাজিরা দিয়ে আসছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মহির মন্ডল জানান, ৩৭ জন কৃষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ১২ জন কৃষকদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ মামলার বিষয়ে কোনো কৃষক আগে জানত না। ঋণ পরিশোধের কৃষকদের কোনো নোটিস দেয়া হয়নি।
তদন্ত কমিটির প্রধান ও সমবায় ব্যাংকের ডিজিএম (পরিদর্শন) আহসানুল গণি বলেন, ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা রয়েছে। আমরা এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কাছে কোনো বক্তব্য দিতে পারব না।
উল্লেখ্য যে, ঋণ পরিশোধের পরও সমবায় ব্যাংক থেকে নেয়া কৃষি ঋণের মামলায় ২৫ নভেম্বর ১২ কৃষককে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। বিষয়টি গণমাধ্যমে আসার পর ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পরে ২৭ নভেম্বর পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক শামসুজ্জামান গ্রেপ্তার ১২ কৃষকসহ ৩৭ জন কৃষকের জামিন মঞ্জুর করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়