বিশ্বকাপ ফুটবল : ভিনদেশি পতাকা না উড়ানোর অঙ্গীকার

আগের সংবাদ

চট্টগ্রাম পলোগ্রাউন্ডের জনসমুদ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা : ওয়াদা চাই, নৌকায় ভোট দেবেন > খুনির দল যেন ক্ষমতায় না আসে

পরের সংবাদ

সেমিনারে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী : মেয়াদ বাড়বে না ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আগামী বছরের জুনের পর ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না। বেসরকারি খাত চাইলে তেল-গ্যাস আমদানি ও বিক্রি করতে পারবে। এজন্য সরকার নীতিমালা তৈরির কাজ করছে। এদিকে গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানের জন্য বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকে প্রস্তাব আসছে।
গতকাল শনিবার ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত ‘এনার্জি ট্রান্সমিশন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা জানান। জ্বালানি বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন এফইআরবির ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম. তামিম।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আগামী বছরের জুনের মধ্যে বেশকিছু ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে সরকারের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। আগে কয়েক দফায় চুক্তি নবায়ন করা হলেও এবার আর মেয়াদ বাড়ানো হবে না। বেসরকারি খাত চাইলে তেল-গ্যাস আমদানি করতে পারবে। শুধু জ্বালানি আমদানি নয়, গ্রাহক পর্যায়ে জ্বালানি বিক্রি করতে পারবে বেসরকারি উদ্যোক্তারা। আমরা এই বিষয়ে নীতিমালা তৈরির কাজ করছি। উদ্যোক্তারা জ¦ালানি আমদানির পর পেট্রোল পাম্পের কাছে বিক্রি করবে। জ্বালানির ধরন পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আমাদের ক্রয়ক্ষমতা বিশ্লেষণ ও বিবেচনা করছি। আমাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে কোনো কিছুই এই মুহূর্তে নিয়ে আসতে পারব না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের দাম বাড়ায় বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ হয়েছে। এখন বিদেশি কোম্পানি বঙ্গোপসাগরের গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানের জন্য আমাদের কাছে প্রস্তাব দিচ্ছে। অথচ কয়েক মাস আগেও এই কাজের জন্য আমারা কোনো পার্টি পাইনি। অথচ পার্টি এখন আমাদের কাছে আসছে। এটা এমন না যে সমুদ্রে গ্যাসের পেলাম আর কালকে গিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লাম। কোম্পানি প্রথমে দেখে খনন করলে সেটা কোম্পানির জন্য লাভজনক হবে কিনা। ফিসিবিলিটি ইজ দ্য মেইন থিং। এই কারণেই ১০ বছর আগে হয়নি। আইওসি ২ ডলারে গ্যাস দেয়। আর সেখানে গিয়ে গ্যাস এক্সপ্লোরেশন করতে গেলে লাগবে ৭ ডলার। আমি যদি ৫ ডলারের প্রস্তাব দেই তাহলে কেউ রাজি হবে না, কেউ রাজি হয়নি। এখন দাম বেড়েছে, তাই পার্টিও আসছে।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি স¤প্রসারণের উপর গুরুত্বারোপ করার আহ্বান জানান।
জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, এলএনজি আমদানিতে নীতিমালায় কোনো বাধা নেই। বেসরকারি উদ্যোক্তা যদি এলএনজি আমদানি করে আমরা তাকে স্বাগত জানাব।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম তামিম বলেন, ২০৩০ সাল নাগাদ দেশের বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি আমদানিতে বছরে অন্তত ২০ থেকে ২৫ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে গ্যাস আমদানিতে ১১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার, কয়লা আমদানিতে ৫ বিলিয়ন ডলার, বিদ্যুৎ ও তরল জ্বালানি আমদানিতে আরো ৯ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে।
ভূতাত্বিক ও জ¦ালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, দেশে গ্যাস ফুরিয়ে যাওয়ার যে কথা বলা হচ্ছে, তা সঠিক না। অন্তত ৩টি আন্তর্জাতিক গবেষণা বলছে, দেশে এখনো প্রায় ৩৪ টিসিএফ গ্যাস মজুত আছে। এই গ্যাস পেতে স্থলভাগে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহম্মদ হোসাইন। এফইআরবির চেয়ারম্যান শামীম জাহাঙ্গীর স্বাগত বক্তব্য দেন এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এফইআরবির নির্বাহী পরিচালক রিশান নসরুল্লাহ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়