রুশ নাগরিকত্ব পেলেন সেই স্নোডেন

আগের সংবাদ

দেশের অর্থনীতি নিয়ে গুজবে কান দেবেন না : প্রধানমন্ত্রী

পরের সংবাদ

চট্টগ্রাম পলোগ্রাউন্ডের জনসমুদ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা : ওয়াদা চাই, নৌকায় ভোট দেবেন > খুনির দল যেন ক্ষমতায় না আসে

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির দুই গুণ। একটি হলো ভোট চুরি, অপরটি মানুষ খুন। ১০ ডিসেম্বর তারা নাকি ঢাকা শহর দখল করে আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করবে। তারা মানুষ খুন করে। মিথ্যা কথা বলে। মানুষকে বিভ্রান্ত করে। জিয়ার রেখে যাওয়া কুলাঙ্গার তারেক লন্ডনে রাজার হালে থাকে; আর দেশের ভেতরে যত বোমাবাজি, খুনখারাবি, নাশকতা- সেগুলো পরিচালনা করে। ডিজিটাল দেশ গড়েছি আমি। আর সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায় তারা। ওরা ধ্বংস করে, আমরা সৃষ্টি করি। জামায়াত-বিএনপি খুনি ও যুদ্ধাপরাধীর দল। এরা যেন বাংলাদেশের মানুষের রক্ত চুষে খেতে না পারে। আর যেন এদেশে ক্ষমতায় আসতে না পারে। দেশ বাঁচাতে, উন্নয়ন ধরে রাখতে আপনাদের কাছে ওয়াদা চাই আবারো নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন।
চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে গতকাল রবিবার বিকালে জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি। লাখো মানুষের উপস্থিতিতে বিশাল জনসমুদ্রে পরিণত হয় পুরো এলাকা। চট্টগ্রাম মহানগর এবং উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ এই মহাসমাবেশের আয়োজন করে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ২৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ছয়টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বিজয়ের মাসে সেগুলোকে চট্টগ্রামবাসীর জন্য তার উপহার হিসেবে তুলে ধরেন। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জনসভা সঞ্চালনা করেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুর রাজ্জাক, এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, তথ্য ও স¤প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন প্রমুখ।
বক্তব্যের শুরুতেই চট্টগ্রামের

ভাষায় প্রধানমন্ত্রী বীর চট্টলাবাসীর কাছে জানতে চান, আনেরা ক্যান আছুন? বেগগুন গম আছুননি? তোয়ার লাইগা আর ফেট ফুড়ে, তাই আইজ আমি আইছি’। সব সময় আপনাদের কথা মনে হয়। কারণ চট্টগ্রাম আমাদের একটা প্রিয় জায়গা ছিল। আমার আব্বা (বঙ্গবন্ধু) জেল থেকে বের হলেই প্রতি বছর আমাদের নিয়ে আসতেন বেড়াতে। ১৯৬১ সাল থেকে অনেকবার এসেছি। আজ চট্টগ্রামের বহু নেতার কথা আমার মনে পড়ে।
স্বজন হারানো ও দেশে ফেরার কথা স্মরণ করে আবেগাপ্লুত প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বাংলার মাটিতে আবার যেন ওই যুদ্ধাপরাধী, খুনির দল ক্ষমতায় এসে মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে- তারজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এই বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি আর খেলতে আমরা দেব না। কারণ জামায়াত-বিএনপি খুনির দল। যুদ্ধাপরাধীর দল। জাতির পিতার হত্যাকারীদের মদদদানকারী দল। এমনকি আমাকেও তো বারাবার হত্যার চেষ্টা করেছে। কাজেই এরা যেন বাংলাদেশের মানুষের রক্ত চুষে খেতে না পারে। আর যেন তারা এদেশে আসতে না পারে।
উপস্থিত জনতার কাছে আবারো ওয়াদা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন। সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। আগামীতে আপনারা ভোট দেবেন নৌকা মার্কায়, হাত তুলে ওয়াদা করেন। উপস্থিত জনতা সবাই হাত তুলে নৌকায় ভোট দেয়ার প্রতিশ্রæতি দেন।
ভোট চুরি আর মানুষ খুন, বিএনপির দুই গুণ- উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির দুইটা গুণ আছে। ভোট চুরি আর মানুষ খুন। ওইটা পারে। তারা জানে, ইলেকশন হলে জনগণ ওই খুনিদের ভোট দেবে না। তাই তারা ইলেকশন চায় না। চায় সরকার উৎখাত করে এমন কিছু আসুক, যারা একেবারে নাগর দোলায় করে ক্ষমতায় বসায় দেবে বা পালকিতে করে ক্ষমতায় বসায় দেবে বিএনপিকে। এটাই তারা আশা করে। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। তারা জনগণের তোয়াক্কা করে না। তিনি বলেন, সমুদ্র আমাদের অধিকার- এটা বিএনপি জানেই না। তারা বাংলাদেশকে চেনেই না। আর চিনবে কোত্থেকে। জিয়ার জন্ম হচ্ছে কলকাতায়। পড়াশোনা করেছে করাচিতে। করাচি থেকে কমিশন পেয়ে বাংলাদেশে ঢুকে সেনাবাহিনীতে পোস্টিংয়ে এসেছিল। কাজেই এদের তো জানার কথা না। আর ওই জ্ঞানও তাদের নাই। একটা তো মেট্টিক ফেল। আরেকটা এইট পাশ। আরেকটা কোনোমতে ইন্টার পাশ। তারা জানবে কোত্থেকে বাংলাদেশ। আর সমুদ্রসীমা আইন কী- তা-ই বা জানবে কোত্থেকে। সরকারে এসে আজকে সেই সমুদ্র সীমায় আমাদের অধিকার আমরা নিশ্চিত করেছি। সমুদ্র সম্পদ আমাদের কাজে লাগবে।
১০ ডিসেম্বর বিএনপির কেন এত পছন্দ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজয়ের মাসে এসেছি। একাত্তরে ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আর মিত্র বাহিনীর কাছে স্যারেন্ডার করে। ঠিক স্যারেন্ডারের আগে ওই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যা শুরু করে। ১০ ডিসেম্বর ইত্তেফাকের সাংবাদিক সিরাজুদ্দিন হোসেনকে তারা তুলে নিয়ে যায়। পিটিআইয়ের সাংবাদিক নজমুল হককে তুলে নিয়ে যায়। বহুজনকে তুলে নিয়ে ১০ ডিসেম্বর থেকে তারা বুদ্ধিজীবী হত্যা শুরু করেছিল। বাংলাদেশে স্যারেন্ডার করতে হবে জেনে, এই দেশ যেন আর সামনে চলতে না পারে- সেই কথা মাথায় রেখেই এ ধরনের ঘটনা তারা ঘটায়। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, সেই ১০ ডিসেম্বর বিএনপির খুব প্রিয় একটা তারিখ। তারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পদলেহন করেছে। দোসর ছিল বলেই ১০ ডিসেম্বর তারা ঢাকা শহর না কী দখল করবে, আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করবে। তাদের বলে দিতে চাই- খালেদা জিয়া ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছিল। বাংলাদেশের মানুষ তাকে মেনে নেয়নি। সারাদেশ ফুঁসে উঠেছিল। আমরা জনতার মঞ্চ করেছিলাম। ৩০ মার্চ খালেদা জিয়া বাধ্য হয়েছিল পদত্যাগ করতে। দেড় মাসেও টিকতে পারেনি। সেই কথা বিএনপির মনে রাখা উচিত।
শেখ হাসিনা বলেন, ওরা (বিএনপি) ভোটে যেতে চায় না। ওরা ভাবে জিয়াউর রহমান যেমন জাতির পিতাকে হত্যা করে, সংবিধান লঙ্ঘন করে, সেনা রুলস লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করেছিল- ওদের ধারণা ওইভাবেই তারা ক্ষমতায় যাবে। গণতান্ত্রিক ধারা তারা পছন্দ করে না। তিনি বলেন, আজকে গণতান্ত্রিক ধারা আছে বলেই বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা উন্নয়ন করি। মানুষের কল্যাণ দেখি। আর বিএনপি মানুষ খুন করে। মিথ্যা কথা বলে। আর মানুষকে বিভ্রান্ত করে। এটাই হচ্ছে তাদের কাজ। তারা গ্রেনেড মারতে পারে, বোমা মারতে পারে। সারাদেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস- এগুলো তারা সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেয়নি। তারা মানুষের শান্তি চায় না। আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে। আওয়ামী লীগ এদেশের স্বাধীনতা এনেছে। আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, খালেদা জিয়া কারাগারে কেন? বিদেশ থেকে টাকা এসেছে এতিমের জন্য। সেই টাকা এতিমের হাতে যায়নি। সব নিজেরা পকেটে ঢুকিয়েছে। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার মামলা করেছে। সেই মামলায় ১০ বছরের সাজা হয়েছে। তার ছেলে একটাতো (আরাফাত রহমান কোকো) মারা গেছে। তার পাচার করা টাকা আমরা সিঙ্গাপুর থেকে কিছুটা এনেছি। জিয়াউর রহমান একজন কুলাঙ্গার বানিয়ে গেছে। সে এখন লন্ডনে বসে আছে। সে গেল কেন লন্ডনে? ২০০৭ সালে কেয়ারটেকার গভর্নমেন্টের কাছে ‘আর কোনোদিন রাজনীতি করবে না’ বলে মুচলেকা দিয়ে দেশ থেকে পালিয়েছিল। আর এখন সেখানে (লন্ডনে) বসে রাজার হালে থাকে আর দেশের ভেতরে যত বোমাবাজি, যত খুনখারাবি, যত রকমের নাশকতা পরিচালনা করে।
শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি আমি। আর সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায় তারা। বলে ব্যাংকে টাকা নাই। অথচ গত কয়েকদিনে যারা ব্যাংকে টাকা তুলতে গেছে, তারা সবাইতো টাকা তুলতে পেরেছে। এখন এখানে আমার একটা কথা আছে। সেটা হলো- আপনি ব্যাংকে টাকা রাখবেন না। টাকা তুলে এনে ঘরে রখবেন? বালিশের নিচে গুজে রাখবেন, না কী তোষকের নিচে রাখবেন না কী আলমারিতে রাখবেন- সে টাকা তো চোরও নিয়ে যেতে পারে। তো এই যে গুজব রটিয়ে, মানুষ বিভ্রান্ত হয়। টাকা তুলে ঘরে আনে। অনেকের তো টাকা চুরিও হয়ে গেছে। তখন আবার ব্যাংকে গিয়ে ফেরত দিচ্ছে। এই যে মানুষের সর্বনাশ করা- এটাই কী বিএনপি আর জামায়াত-শিবিরের কাজ? না কী চোরের সঙ্গে তাদের কোনো সখ্যতা আছে। সেজন্য মানুষকে বলে ব্যাংকে টাকা রাখবেন না, টাকা নেই। অথচ ঘরে রাখলে চোরের সুবিধা। চোরের পোয়াবারো। আসলে ওরা নিজেরাই মানুষের টাকা মেরে খায়। এটাই তাদের স্বভাব। বিএনপি যখন জনমত সৃষ্টিতে পারে না। নীতিমালায় পারে না। দেশের উন্নতি করতে পারে না। কিন্তু মিথ্যা কথায় পারদর্শী। গুজব ছড়িয়ে ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে। আপনাদের কাছে আমার আহ্বান, আপনারা দয়া করে গুজবে কান দেবেন না। কান চিলে নিয়ে গেছে বলে চিলের পেছনে ছুটবেন না। আগে হাত দিয়ে দেখবেন- কান আছে কী না। কী কথা কি ঠিকমতো বলছি কী না। ওরা মিথ্যা কথা বলে, ওটা ওদের অভ্যাস। কাজেই আগে গুজবটা সত্য কী না সেটা আগে দেখবেন।
দেশে খাদ্যের অভাব হবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে খাদ্যের কোনো অভাব নেই। দেশের মানুষকে খাদ্যে আমরা কষ্ট পেতে দেব না। আমাদের খাদ্য উৎপাদন আমরা কয়েকগুণ বৃদ্ধি করেছি। যার ফলে আমাদের খাদ্যের কোনো অভাব হবে না। তাছাড়া আমরা রিসার্চ করে ফলমূল-তরিতরকারি, মাছ, মাংস- সবই উৎপাদন বাড়িয়েছি। তারপরও ঝড়-জলোচ্ছ¡াস, বন্যায় যদি ক্ষতি হয় সঙ্গে সঙ্গে বিদেশ থেকে নিয়ে এসে আমাদের রিজার্ভ ঠিক রাখি- আপদকালীন সময়ের জন্য।
সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিদ্যুৎ নিয়ে কিছু দিন কষ্ট হয়েছিল। ভবিষ্যতে আর হবে না- ইনশাল্লাহ। তবে আপনাদের কাছে অনুরোধ, সাশ্রয়ী হতে হবে। বিদ্যুৎ ব্যবহার সীমিত করতে হবে। আপনারা জানেন না, এই শীতকালে ইউরোপের ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের কী অবস্থা। তারা গরম পানি পাচ্ছে না। তারা রুম হিট করতে পারছে না। এক রুমের মধ্যে সমস্ত পরিবার নিয়ে থাকতে হচ্ছে। দোকানে গেলে জিনিস কিনতে পারে না। হয়তো এক প্যাকেট জিনিসের বেশি একটি পরিবার কিনতে পারবে না। এমন অবস্থা তাদের। আমি বলতে চাই, বাংলাদেশে এই অবস্থা হবে না। আমরা মানুষের সবরকম সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত রাখব কিন্তু আপনাদের সহযোগিতা চাই। কী সহযোগিতা বিদ্যুৎ, পানি, জ¦ালানি তেল ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। নিজেদের সাশ্রয় করতে হবে। আর যার যত জমি আছে- এক ইঞ্চি জমিও খালি ফেলে রাখবেন না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়