বিশ্বকাপ ফুটবল : ভিনদেশি পতাকা না উড়ানোর অঙ্গীকার

আগের সংবাদ

চট্টগ্রাম পলোগ্রাউন্ডের জনসমুদ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা : ওয়াদা চাই, নৌকায় ভোট দেবেন > খুনির দল যেন ক্ষমতায় না আসে

পরের সংবাদ

বিশ্বকাপের আসল লড়াই শুরু

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাতার বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডের ৪৮ ম্যাচ শেষে শনিবার থেকে শুরু হয়েছে নকআউট পর্ব। এখানে ড্রয়ের কোনো মূল্য নেই। ম্যাচে ফয়সালা হতেই হবে। মোদ্দা কথা এক দলকে বাদ যেতেই হবে। নকআউট পর্ব থেকে ৮ দল যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে। তাই নকআউট পর্বকে বলা হয় আসল লড়াই শুরু। এখানে জয় পেলেই ঠাঁই হবে শেষ আটে। তার পর জায়গা হবে সেমিফাইনালে। অতঃপর দেখা হবে ১৮ ডিসেম্বর ফাইনালে।
এবারের বিশ্বকাপ যেভাবে দর্শকদের মাঝে রোমাঞ্চ ছড়াচ্ছে তাতে ভবিষ্যতে আরো যে কী দেখতে হয় তার অপেক্ষায় ফুটবলপ্রেমী দর্শকরা। তবে এই মুহূর্ত পর্যন্ত যে মেসেজটা দিয়ে যাচ্ছে তাতে এটা বলা যায় ২০২২ বিশ্বকাপে কোনো দলকে ছোট করে দেখার সুযোগ নাই। জাপান, মরক্কো, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া যেভাবে একে একে বড় দলগুলোকে হারিয়ে দিচ্ছে তাতে আরো চমক দেখলেও অবাক হব না। তাই এটা বড় দলগুলোর জন্য জেগে ওঠার সংকেত বলতে পারি। সেই সতর্কতা মাথায় নিয়ে ফ্রান্স মুখোমুখি হবে পোল্যান্ডের। কোচ দিদিয়ে দেশম তার পূর্ণাঙ্গ দল নিয়ে যখন মাঠে নামবে তখন এমবাপ্পে, গ্রিজম্যান, জিরুড, ডেম্বলেরা দ্যুতি ছড়াবে তার জবাব কতটুকু বা দিতে পারবে কোচ মিখনিয়েভিৎস এর পোল্যান্ড।
তবে ফ্রান্সকে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে পোল্যান্ডের সবচাইতে বড় অস্ত্র বিশ্বসেরা স্ট্রাইকার লেভানদোভস্কি। দুই পায়ের সঙ্গে হেডেও গোল করার দারুণ সামর্থ্য আছে তার। তাই তাকে সবসময় চোখে চোখে রাখতে হবে। তবে ফ্রান্সের প্রথম দুই খেলার পারফরম্যান্স যদি আমরা বিবেচনায় নেই তাহলে ফ্রান্স অনেকটাই এগিয়ে থাকবে পোল্যান্ডের চাইতে। তাই এই ম্যাচে ফ্রান্সই জিতবে আর পোল্যান্ড জিতলে সেটা হবে অঘটন। জিতলেই শুধুমাত্র পরের ম্যাচে খেলা যাবে অন্যথায় বিদায় এরকম সমীকরণে এখন প্রতিটা দলকে গ্রুপ অব ১৬তে মাঠে নামছে দলগুলো। শক্তির বিচারে ইংল্যান্ড এগিয়ে থাকলেও সেনেগালকে ছোট করে দেখার কোন সুযোগ নাই। কারণ আফ্রিকার দলগুলোর শক্তিই হচ্ছে শারীরিক সক্ষমতা এবং একই ধাচে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে লড়াই করা। আর মিনিমাম চান্সে মেক্সিমাম ইউটাইলেজেশোন। তার একটি প্রমাণ ক্যামেরুন দেখিয়েছে ব্রাজিলের সঙ্গে। তাই ইংল্যান্ডকে সতর্কতার সঙ্গে এই ম্যাচে এগুতে হবে এবং সেই সঙ্গে শক্তিশালী আক্রমণভাগ হ্যারি কেন, ফোডেন, স্টার্লিং, রাশফোর্ডরা প্রæপপর্বের ম্যাচগুলোতে তাদের পারফম্যান্স এবং উজ্জ্বলতা দেখিয়েছে তা যদি অব্যাহত রাখতে পারে তবে সেনেগালের প্রতিরোধ যে কোনো সময় ভাঙতে পারে। হারলেই বিদায় তাই সেনেগাল চাইতেও পারে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচটাকে অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যেতে এবং ট্রাইবেকারে পৌঁছাতে। যখন দুই দলের জন্য সমান সমান সুযোগ তৈরি হবে। আশা করি ইংল্যান্ড সেই সুযোগ তাদের দেবে না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়