অভিনেত্রী শিমু হত্যা মামলায় স্বামীসহ দুজনের বিচার শুরু

আগের সংবাদ

বাস্তবায়ন থমকে, শান্তি অধরা : শান্তিচুক্তির ২৫ বছর, সংঘাতে অশান্ত পাহাড়, বাড়ছে নতুন নতুন সশস্ত্র সংগঠন

পরের সংবাদ

হাসপাতালকেই চিকিৎসা বর্জ্য পৃথক করে দিতে হবে : তাপস > আইনেই চিকিৎসা বর্জ্য আলাদা করার বিধান আছে : সাবের চৌধুরী

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ চিকিৎসাসংক্রান্ত সব প্রতিষ্ঠানে সৃষ্ট সাধারণ বর্জ্য থেকে চিকিৎসা বর্জ্যকে আলাদা করে সিটি করপোরেশন নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানে হস্তান্তর করতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। গতকাল বুধবার দুপুরে খিলগাঁও তালতলা কবরস্থান ও মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, চিকিৎসা বর্জ্য ধ্বংসে আমাদের প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে এখন পর্যন্ত হাসপাতালগুলো যথা নিয়মে সাধারণ বর্জ্য থেকে চিকিৎসা বর্জ্যকে পৃথকীকরণ করছে না। এটা স্ব স্ব হাসপাতাল, ক্লিনিককে পৃথক করতে হবে। কিন্তু তারা সাধারণ বর্জ্যরে সঙ্গেই চিকিৎসা বর্জ্য মিলিয়ে এগুলোকে ফেলে দিচ্ছি বা দিয়ে দিচ্ছে। সুতরাং সব হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইনস্টিটিউটসহ চিকিৎসার কাজে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে এখন থেকেই সাধারণ বর্জ্য হতে চিকিৎসা বর্জ্যকে পৃথকীকরণের কার্যক্রম শুরু করতে হবে। যে সব প্রতিষ্ঠানকে চিকিৎসা বর্জ্য সংগ্রহের জন্য আমরা নিবন্ধন দেবো, তাদের কাছে এটা হস্তান্তর করতে হবে। তারা সরাসরি আমাদের মাতুয়াইল ভাগাড়ে ইনসিনারেশন প্লান্টে নিয়ে এলে আমরা পরিপূর্ণভাবেই চিকিৎসা বর্জ্য থেকে ঢাকাবাসীকে মুক্ত করতে

পারব।
চিকিৎসা বর্জ্য সংগ্রহে অঞ্চলভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন দেয়া হচ্ছে জানিয়ে শেখ তাপস বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় মাতুয়াইল ভাগাড়ে জায়গা দিয়েছি। সেখানে একটি ইনসিনারেশন, অটোক্লেভ করা হয়েছে। যাতে করে চিকিৎসা বর্জ্যগুলো আলাদা আলাদাভাবে নেয়া যায় এবং যেসব বর্জ্য ধ্বংসযোগ্য বা ধ্বংস করা অত্যাবশ্যক সেগুলোকে ধ্বংস করা যায়।
শেখ তাপস বলেন, খিলগাঁওয়ে আজকে আমরা একটি কবরস্থান ও মসজিদের উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর করলাম। কবরস্থানের জমি দীর্ঘদিন ধরে দখল অবস্থায় ছিল। আমরা দখলমুক্ত করেছি। এখানে একটি সুন্দর কবরস্থান করছি। ৩৪শ কবর দেয়া যাবে। ঢাকাবাসীর কবরের জন্য যে চাহিদা আছে, এই এলাকায় সেই চাহিদা আমরা মেটাতে পারব।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, আইন অনুযায়ী যেসব প্রতিষ্ঠান চিকিৎসা বর্জ্য উৎপাদন করে তা আলাদা করার বিধান আছে। পরিবেশ আইনেই এই বিধানটি সুস্পষ্টভাবে বলা আছে। অতীতে এটা নিয়ে আমরা কেউ ভাবিনি। এখন আমরা প্রতিটি বর্জ্য ও বর্জ্যরে উৎসস্থল কোথায় সেটা আমরা চিহ্নিত করছি। আমরা যেটা বলি, সোর্স বা উৎসে যদি এটা পৃথক না করা হয় তাহলে সিটি করপোরেশনের খুব একটা বেশি কিছু করার নেই। যেমন আমাদের এলাকায় মুগদা হাসপাতাল আছে। সেখানে আমরা একটা প্রটোকল চালু করেছি। তারা এটা কীভাবে ডিসপোজাল করবে সেজন্য সেখানে আমাদের একটা কমিটিও আছে। ঢাকা শহর ছাড়াও বাংলাদেশের আরো বিভাগে চিকিৎসালয় আছে। সেখানেও নানা ধরনের চিকিৎসা বর্জ্য উৎপাদিত হয়। এটা আমাদের একটি জাতীয় উদ্বেগ।
কবরস্থান ও মসজিদের উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে মেয়র শেখ তাপস কবরস্থান প্রাঙ্গণে একটি কৃষ্ণচূড়া আর সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী একটি রাধাচূড়া গাছের চারা রোপণ করেন। এর আগে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস টিকাটুলী জামে মসজিদ পুনর্নির্মাণ, বাংলাদেশ মাঠ ভবন ও ধানমন্ডি নগর সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং এলিফ্যান্ট রোডে নবনির্মিত গণশৌচাগার উদ্বোধন করেন। ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব আকরামুজ্জামান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মাহী ও মিরাজ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়